আপনারা কি জানেন এই মুহূর্তে যে উড়ন্ত প্রাণীটির ভয়ে ভারতের একটা বড় অংশের মানুষ জর্জরিত তা কিন্তু রীতিমত একটি প্রোটিনসমৃদ্ধ ও সুস্বাদু খাবার। আসুন একটু খোলাসা করেই বলি। ইতিমধ্যেই সুদূর আফ্রিকা থেকে মধ্য এশিয়ার হয়ে পঙ্গপালের দল হানা দিয়েছে ভারতে। যার চিন্তায় ঘুম উড়েছে সবার। গবেষকরা ভাবছেন যে কি করে এই পঙ্গপালকে প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু হয়তো অনেকেই জানেন না এই পঙ্গপাল দিয়ে বানানো রান্না অন্যতম জনপ্রিয় একটি খাবার। এই পঙ্গপালকে গ্রামবাংলায় বলে ঘাসফড়িং। যা নাকি খেতে অনেকটা চিংড়ি মাছের মত। তার মানে এটি ভেজে খেলে ঠিক চিংড়ির মত লাগে, আর সাথে খুবই উচ্চমানের প্রোটিনের উৎস। আমরা যেরকম চিংড়ি মাছের হরেক রকম রেসিপি বানিয়ে খাই, সেরকমই বাইরের দেশে এই পঙ্গপাল দিয়ে হরেক রকম রেসিপি রয়েছে। আজ আপনাদের জন্য রইল পঙ্গপাল ফ্রাই বানানোর রেসিপি।
° পঙ্গপাল রান্না করার জন্য প্রথমে এগুলির পা ও ডানা আলাদা করে নিতে হবে। চাইলে এর মাথাগুলোও আলাদা করে নিতে পারেন। (আবার অনেকে একে মাথা সমেতও রান্না করেন) এরপর পঙ্গপালগুলোকে ভাল করে জলে ধুয়ে নিতে হবে।
° এবার একটা প্যানে মাখন গরম করে তাতে পঙ্গপালগুলো দিয়ে দিন এবং ভাল করে ভাজতে থাকুন।
° এবার এতে মিশিয়ে দিন নুন ও গোলমরিচ।
° তারপর আঁচ কমিয়ে পঙ্গপালগুলোকে ভালো করে ভাজতে থাকুন, যতক্ষণ না তাতে সোনালি রং ধরে।
° এবার অন্য একটি প্যানে অল্প তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি ভাজুন।এবার তাতে মিশিয়ে দিন আগে থেকে ভেজে রাখা পঙ্গপালগুলো।
° পুরোটা ভালো করে মিশে গেলে একটা পাত্রে তুলে নিন। ব্যাস, তৈরি পঙ্গপালের সুস্বাদু রেসিপি।
তবে শুধু কিন্তু এই এক পদ্ধতিতেই নয় আরও বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতিতে রান্না করা যায় পঙ্গপাল। আপনারা চাইলে পঙ্গপাল ভেজে তাতে মধু ছড়িয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন অন্য আরেকটি একটি চমকদার রেসিপি। অথবা পঙ্গপাল কাটার পর তা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পঙ্গপালের কাবাব।
যে কোনো বাঙালির কাছে কলকাতার স্ট্রিট ফুডের নাম জানতে চাইলে তিনি চোখ বন্ধ করে বলবেন ফুচকা, পাপড়ি চাট, মোমোর কথা। কিন্তু জানেন কি আপনি যদি চিনে গিয়ে কাউকে স্ট্রিট ফুডের কথা বলেনি সে কিন্তু নির্দ্বিধায় বলবে পঙ্গপাল ভাজার কথা। যা সেদেশের অন্যতম সুস্বাদু রাস্তার ধারের খাবার। তবে প্রসঙ্গত বলে রাখি, ভুলেও কীটনাশক দিয়ে মারা পঙ্গপাল রান্না করে খেতে যাবেন না। তাহলে কিন্তু বিপদ অনিবার্য।
Discussion about this post