কলকাতাকে এক কথায় বলতে গেলে বেশিরভাগ উত্তর আসে ‘নস্টালজিয়া’। আবেগের শহরই বটে। চারিদিকে সংস্কৃতিকে বুকে করে বেঁচে থাকা এক শহর। সত্যিই এ কলকাতার মধ্যে লুকিয়ে আছে আরেক অন্য কলকাতা। কলকাতার এই রূপকে কিন্তু সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। তবু কলকাতার পথে হাঁটা এখনও আবেগী ব্যাপার। আর এইরকম হাঁটতে গিয়েই যদি চোখে পড়ে স্মৃতির ভাণ্ডার, কেমন হয়? আর হারিয়ে যাওয়া কিছু হঠাৎ পেতে কার না ভালো লাগে! ঠিক এমনই চোখ পড়বে লেনিন সরণীর এক স্টলের দিকে। হঠাৎ এ পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পাবেন হারিয়ে যাওয়া ক্যাসেট ও রেকর্ড।
তবে কথা হচ্ছে, যান্ত্রিকতার মোহ কাটিয়ে এ পুরনো মায়া কাদের টানে? বিক্রেতার কাছ থেকে জানা গিয়েছে, এখনও অনেক এমন মানুষ আছেন। যারা পুরনো ক্যাসেট আর রেকর্ড খোঁজেন। নস্টালজিক রাস্তায় নস্টালজিয়া খুঁজে পাওয়া তো কম কথা নয়। এর থেকে বোঝা যায় ডিজিটাল সিস্টেম সর্বস্ব গ্রাস করতে পারেনি এখনও।
বিক্রেতার থেকে শোনা যায় যে, এই ক্যাসেটের দাম নির্ভর করে এর গানের ওপর। অর্থাৎ, কন্ডিশন ও কন্টেন্টের ওপর। একশো, পাঁচশো ছাড়িয়ে এর দাম পৌঁছাতে পারে হাজারের দোরগোড়ায়। এছাড়া কিছু ক্যাসেট শুরু হয় পঁচিশ টাকা থেকে। এগুলো সাজানো থাকে দোকানে নিচের দিকের তাকে। আর অন্যান্য ক্যাসেট যেগুলোর দাম প্রায় পাঁচশো থেকে শুরু, সেগুলোর স্থান তাকের ওপর দিকে। এই রেকর্ড স্টল শুধু কেনা বেচারই জায়গা নয়। বরং এতে বেঁচে আছে পুরনো কলকাতার হারিয়ে যাওয়া ছবি।
চিত্র এবং তথ্য ঋণ – কুশল ব্যানার্জী
Discussion about this post