‘যদি এমন হতো’, ঠিক কেমন হওয়ার কথা এই সিঙ্গলসে উঠে আসছে? প্রশ্নের জবাবে প্রিয়াণ উজাড় করে দিলেন তাঁর অনুভূতি। তাঁর কথায় ‘যদি এমন হতো’ আসলে ভীষণই মিষ্টি একটি গান এবং অবশ্যই একটি মিষ্টি চিন্তাভাবনা। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে কঠিন পরিস্থিতিতে মিষ্টি চিন্তাভাবনা কীভাবে আপনার মাথায় আসছে? সত্যি কথা বলতে আমাদের কারোরই মন ভালো নেই এই মুহূর্তে। চারিদিকে ফ্রাস্ট্রেশন, স্বজন হারানোর কষ্ট। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই মা আসছেন। এই উৎসবকে ঘিরে শেষ থাকেনা আমাদের আবেগের, থাকে অনেক পরিকল্পনা। এ বছর সেগুলোর বেশিরভাগটাই আমরা বাস্তবায়িত করতে পারবো না, পারা উচিতও নয়। তারপরেও মনে হয় এবার পুজোয় আগের দিনগুলো ফিরে আসতো।
প্রিয়াণের কথায়, “এতো কিছুর পরেও তো আমাদের মন সেই পুরনো স্মৃতি-নস্টালজিয়াকে ফিরে পেতে চায়। ঢাকে কাঠি আর কাঁসর-ঘণ্টা বাজতে শুরু করলেই মনটা আনচান করে ওঠে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরা, বাড়ির পুজোয় পাত পেড়ে অষ্টমীর ভোগ খাওয়া কিংবা পাড়ার মন্ডপে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা। অনেকের কাছেই আবার পুজো মানে প্রথম ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে প্রথম ঠাকুর দেখতে বেরনো। মহামারী পরিস্থিতিতে এই স্মৃতিগুলোকে আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরেই আমাদের বাড়িতে কাটানো উচিৎ এই পুজো। সেই স্মৃতির কথাই তুলে ধরবে সিঙ্গলসটি।”
তিনি আরও জানালেন হঠাৎই গানটির লিরিক্স তিনি লিখে ফেলেন। এটিতে সুপরিকল্পিত ভাবে সুর দিয়েছেন কম্পোজার মহুল চক্রবর্তী (ডোডো)। প্রিয়ান এও বলেন, “এতো মন খারাপের মাঝেও যেন একটু হলেও পজিটিভিটি আনা যায়, আমার চেষ্টা সেটাই ছিল। আশা রাখি সেই চেষ্টা সবার মধ্যে সফলভাবে ভাগ করে নেবে এই গান। তবেই তো আমার এই সৃষ্টি সার্থক। দর্শকের কাছে প্রত্যাশা একটাই। এই মুহূর্তে বাইরে বেরিয়ে করোনাকে আহ্বান না জানিয়ে, বাড়িতে থাকার রসদ খুঁজে নিন। উপভোগ করুন ‘যদি এমন হতো’।”
Discussion about this post