জম্মু ও কাশ্মীরের নৌগাম সেক্টর থেকে এক পাকিস্তানী অফিসারের ক্ষতিগ্রস্থ কবর পুনরুদ্ধার করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কবরটি প্রায় ৪৮ বছরের পুরোনো। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি সে খবরই প্রকাশ করেন তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর শ্রীনগর ভিত্তিক চিনার কর্পস সমাধি সহ একটি এপিটাফের ছবি ট্যুইট করেছে। যেখানে লেখা রয়েছে, “মেজর মোহাম্মদ শাবির খানের স্মরণে, সেতার-ই-জুরাত শহীদ ৫ মে ১৯৭২, ১৬৩০ এইচ, ৯ জন শিখের পাল্টা আক্রমণে নিহত হয়েছেন।”
প্রয়াত পাকিস্তানি সেনা মোহাম্মদ খান ছিলেন পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-জুরাতের এক প্রাপকও বটে। রীতিমতো সম্মানের সঙ্গেই তাঁর কবরটি পুনরুদ্ধারের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, “একজন সৈনিক, তিনি যে দেশেরই হন না কেন, মৃত্যুর পরও সমানভাবেই সম্মান এবং মর্যাদার দাবিদার। ভারতীয় সেনাবাহিনীও ঠিক এমনটাই বিশ্বাস রাখে। এবং সারা বিশ্বের জন্যও ভারতীয় সেনাবাহিনী এরকমই নিদর্শন রাখতে চায়।” চিনার কর্পস তাদের টুইটার পোস্টে এও লেখে, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য ও নীতি অনুসরণ করেই, চিনার কর্পস এলওসি-র নৌগামের সামনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর মোহাম্মদ শাবির খান, (সিতারা-ই-জুরাট)-এর এক ক্ষতিগ্রস্থ কবরকে পুনর্বাসিত করে। ‘অ্যাকশন’ (কেআইএ)-এর সাহায্যেই হত্যা করা হয় মেজরকে।”
চলতি বছরের জানুয়ারিতেই পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিমের বিরুদ্ধে ভারতের এক শ্রমিকের মাথা ছিন্ন করার অভিযোগ আনে ভারতীয় সেনা। ফলে পাক সেনার নানা বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ একেবারে বিপরীতই বলা চলে। এমনকি কিছুটা দৃষ্টান্তমূলকও বটে! যা শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বেও সম্প্রীতির বার্তা বহন করে অচিরেই।
Discussion about this post