ফাটিয়ে চলা গরমের সাথে টেক্কা দিয়ে চলছে ঈদের মরসুম। এসময়ে সেহরি আর ইফতার কথাটার সাথে সকলেই কম বেশি পরিচিত। সেহরি হলো সূর্য ওঠার আগে ভোরের নামাজ। অন্যদিকে ইফতার রোজা ভঙ্গের এক নিয়ম। সারাদিন না খেয়ে রোজা পালনের পর সূর্যাস্তের কালে পালন হয় ইফতার। আর ইফতারের এই দিনগুলোতে দোকান বাজারের ছয়লাপ। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম কোনোটাই আনন্দের সিকি ভাগ বাদ দিতে রাজি নয়।
তেমনই প্রতিবার ইফতারের আমেজ জমে ওঠে মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রাম কলুদিয়ারে। জিয়াগঞ্জ থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে অবস্থিত এই গ্রাম। তবে এ গ্রামে কিন্তু কোনো বাজার বসে না। এখানকার লোকজনকে যেতে হয় পাশের গ্রামগুলোয়। তরতিপুর এবং ভাগীরথপুর। তিন গ্রাম মিলে ইফতার জমজমাট। ঈদের কেনাকাটা করেন না এমন মানুষ দুরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া দায়।
দোকানের সমাহার লক্ষ্য করার মত। জামা কাপড়, ফলমূল তো রয়েছেই! তার সাথে গ্রামের অন্যতম আকর্ষণ তেলেভাজা আর জিলিপি। বেচা কেনা এ সময়ে তুলনায় বেশিই হয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলের মধ্যে বিশেষত বিক্রি হয় খেজুর আর ছোলা। এক্ষেত্রে আরবের খেজুরের দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। অবস্থাপন্ন মানুষেরা আরবের খেজুর কিনে থাকেন। তবে যে কোনো অবস্থাই হোক, আনন্দে সামিল হন সবাই। এই তিন গ্রাম ছেড়ে আরেকটু দূরে চুয়া গ্রামে ইফতারের মেলা বসে। কেনাবেচার হাল হোক বা লোকজনের সমাগম ইফতারের দিনগুলো হয়ে ওঠে রঙিন।
Discussion about this post