৩০ বছর আগে বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের ভবেরপাড়া গ্রামের ফিলিপ হালসোনার মেয়ে সুকৃতি মণ্ডলের (৫০) বিয়ে হয় ভারতের নদিয়ার হৃদয়পুর গ্রামের সঞ্জিত মণ্ডলের (৫৬) সঙ্গে। হৃদয়পুর ও ভবেরপাড়ার দূরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার। কিন্তু দুই পরিবারের অবাধ যাতায়াতে একমাত্র বাধা ছিল সীমান্তের কাঁটাতার। যদিও বিভিন্ন সময়ে পাসপোর্ট-ভিসা ব্যবহার করে তাঁদের যোগাযোগ ছিল। শনিবার নদীয়ার চাপড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুকৃতি মণ্ডল।
মৃত্যুর খবর পেয়ে বাংলাদেশের স্বজনরা মরদেহ দেখতে বিজিবির কাছে আবেদন করেন। বিজিবি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সদর্থক সাড়া পায়। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সীমান্তের ১০৫ মেইন পিলারের নো ম্যানস ল্যান্ডে মরদেহ রেখে স্বজনদের দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিছু সময় পরে সুকৃতির মরদেহ আবার ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় বিএসএফ। এ সময় আত্মীয়-স্বজনরা ভেঙে পড়েন কান্নায়।
সুকৃতি মণ্ডলের ভাইয়ের ছেলে নদীয়ার হৃদয়পুরের অসীম মণ্ডল বলেন, “বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সহায়তা না করলে আত্মীয়রা পিসির মরদেহ দেখতে পেতেন না। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।” দুই বাংলার সীমান্তরক্ষীদের এই মানবিকতা চলমান থাকুক ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পাড়ের মুমূর্ষু রোগী, জন্ম, মৃত্যু এসব ঘটনার ক্ষেত্রে।
তথ্য এবং চিত্র ঋণ – দৈনিক সমকাল
Discussion about this post