আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে এমন অনেক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রয়েছে, যাতে নিয়মিত চার্জের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখানে একজন জলজ্যান্ত মানুষ একইভাবে বিদ্যুতে চার্জ হয়ে থাকেন রোজ। অবাক হচ্ছেন তো ? হ্যাঁ ,ঠিক এই ঘটনারই সাক্ষী করলেন একজন ৪২ বছরের লোক। নরেশ কুমার। উত্তরপ্রদেশের মুজফগরনগরের বাসিন্দা। সরকারি হাসপাতালের মৃতদেহ গোসলের কাজ করে থাকেন। পাঁচ সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে এক সাধারণ সংসার।
প্রায় ছয় বছর আগে একদিন হঠাৎ লক্ষ্য করেন, তাঁর শরীরে বিদ্যুৎ কোনও প্রভাবই ফেলে না। প্রায় ১১ হাজারের মত উচ্চ ভোল্টেজের উন্মুক্ত তার অনায়াসে মুখে চেপে রাখতে পারেন। তিনি এও জানান, খিদে অনুভব হলে খাবারের বদলে বিদ্যুৎ খেয়েই থাকেন তিনি। এমনকি ৩০ মিনিট পর সেই খিদেও মিটে যায়।যেকোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ( টিভি,ফ্রিজ, ইনভার্টার ইত্যাদি) উন্মুক্ত তার বিদ্যুৎ প্রবাহিত অবস্থাতেই খালি হাতে রাখার ক্ষমতা রাখেন তিনি। তাঁর স্ত্রী জানান,বাড়িতে কোনো সুইচের দরকার পড়েই না। তাঁর গোটা শরীরটাই যেন এক বিদ্যুতের ভান্ডার।
কিন্তু কীভাবে তাঁর এই বিদ্যুৎ ধরে রাখার ক্ষমতা জন্মাল? তার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনও মেলেনি। তবে মনে করা হয়, শরীরে ঘর্মগ্রন্থির অভাব থাকলে এমনটা হলেও হতে পারে। পদার্থবিজ্ঞানের গবেষকরা বলছেন,ওনার শরীর বিন্যাসটিই (অ্যানাটমি) হয়ত এমন বিদ্যুৎ রোধক। তাই এটা সম্ভব হচ্ছে। আবার অনেকে মনে করছেন, ওনার স্নায়ুর সমস্যা থাকতে পারে। কারণ আমাদের শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের কাজই হলো, তড়িৎ সিগন্যালের মাধ্যমে যেকোনো উত্তেজনা মস্তিষ্কে প্রেরণ করা। কিন্তু বাইরে থেকে তড়িৎ নিলে সেই সিগন্যালে বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই এই ব্যাক্তি খিদের সময় বাইরের তড়িৎ নিলে খিদে ভাবটি আর অনুভব হয় না। সেটাকেই খিদে মিটে যাওয়া ভাবছেন। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের মাধ্যমে ওনার শরীরের বিচার বিশ্লেষণ করলে হয়ত আসল রহস্য উদঘাটন হতে পারে। গোটা বিশ্বে উনি ছাড়াও কিন্তু বেশ কয়েকজন এই ক্ষমতার অধিকারী বলে জানা গেছে।
Discussion about this post