করোনার থাবা গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। তটস্থ গোটা দুনিয়া। ভারতে এই রোগের আক্রমণের খবর তুলনামূলকভাবে কম কিন্তু ভয় মনের অন্দরমহলে দানা বেঁধে থেকেই যাচ্ছে। ভারতও তাই রীতিমত সতর্কিত। নবান্নে বৈঠক করে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত স্কুল, কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছেন। রাস্তাঘাট, অফিস, কলেজ, বিমানবন্দর এমনকি টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়া কার্যত ফাঁকা। ডাক্তারদের নির্দেশ ঘন ঘন করে সাবান দিয়ে নিজের হাত পরিষ্কার রাখুন। আক্রমণের সম্ভাবনা থাকলে মাস্ক ব্যবহার করুন, প্রয়োজনে সাবানের বিকল্প হিসেবে অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। আর এখানেই যত বিপত্তি! করোনা আতঙ্ক তুঙ্গে উঠতেই কালোবাজারির ছোঁয়া লেগেছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বাজারে। অধিকাংশ লোক দোকানে খোঁজ করে কার্যতঃ খালি হাতেই ফিরছেন। কোথাও স্টক শেষ, কোথাও বিকোচ্ছে চড়া দামে।
এই অবস্থায় উপায় একটাই – একেবারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এটি তৈরিতে মূলতঃ প্রয়োজন ইথাইল অ্যালকোহল(৮০%), কার্বোপোল জাতীয় পলিমার, অ্যালোভেরা জেল (পরিবর্তে গ্লিসারিন) আর সামান্য সুগন্ধি তেল। বাণিজ্যিকভাবে এগুলি দিয়েই বানানো হয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিন্তু কার্বোপোল জাতীয় পলিমার সহজলভ্য নয়। কাজেই তাই না ব্যবহার করলেও চলবে। সুগন্ধি তেলের প্রয়োজন আকর্ষণীয় গন্ধ দানের জন্য। যদিও এটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে না ব্যবহার করাই শ্রেয়। মধ্যবিত্ত ঘরে অ্যালোভেরা জেল না থাকলেও গ্লিসারিন মোটামুটি সহজলভ্য। বাজার থেকে ভালো গ্লিসারিন কিনলেই চলবে। যে কোন ওষুধের দোকানে বা অনলাইনে পাবেন ইথাইল অ্যালকোহল অথবা আইসো প্রোপাইল অ্যালকোহল। একটি পাত্রে দুই কাপ অ্যালকোহল নিন, তাতে তিন চামচ (বড়ো চামচ) গ্লিসারিন দিন। বাড়িতে ব্লেন্ডার থাকলে ভালো, ব্লেন্ডার দিয়ে ধীরে ধীরে মেশান। ব্লেন্ডার না থাকলে চামচ দিয়ে ধীরে ধীরে একই গতিতে একই অভিমুখে গোল করে মেশাতে থাকুন। ঘনত্ব বাড়াতে প্রয়োজনে অল্প গ্লিসারিন দিতে পারেন, তবে খুব বেশি না। ভালো ভাবে মিশ্রণ তৈরি হলে একটি কৌটোতে ঢেলে ভালোভাবে মুখ বন্ধ করে দিন, প্রয়োজন মত ব্যবহার করুন। তবে এটি সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতি, কিন্তু এই দুঃসময়ে এভাবে কাজ চালিয়ে নেওয়া যেতে পারে সহজেই।
Discussion about this post