তিব্বতিদের বৌদ্ধ মঠকে গুম্ফা বলা হয়। সিন্ধু নদের তীরে, হেমিস গ্রামে অবস্থিত এই হেমিস গুম্ফা ভারতের সবথেকে বড়ো গুম্ফা। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির মাঝখানেই এই হেমিস গুম্ফা বহন করে চলেছে একটুকরো ঐতিহ্য, যা আসলে হেমিস গুম্ফা মেলা। লেহ শহর থেকে মোটামুটি ৪৫ কিমি দূরত্বে এই হেমিস গুম্ফা অবস্থিত। যা ১৬৭২ সালে পুনঃর্নিমাণ করেন লাদাখের রাজা নামগিয়াল। এবার আসি মেলার কথায়।
তিব্বতিদের বৌদ্ধ মঠকে গুম্ফা বলা হয়। সিন্ধু নদের তীরে, হেমিস গ্রামে অবস্থিত এই হেমিস গুম্ফা ভারতের সবথেকে বড়ো গুম্ফা। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির মাঝখানেই এই হেমিস গুম্ফা বহন করে চলেছে একটুকরো ঐতিহ্য, যা আসলে হেমিস গুম্ফা মেলা। লেহ শহর থেকে মোটামুটি ৪৫ কিমি দূরত্বে এই হেমিস গুম্ফা অবস্থিত। যা ১৬৭২ সালে পুনঃর্নিমান করেন লাদাখের রাজা নামগিয়াল। এবার আসি মেলার কথায়।
মেলার সাজসজ্জা বেশ অন্যরকম। মেলা প্রাঙ্গণের মাঝে একটি মঞ্চ তৈরি করে। তার ওপর রাখা হয় একটি লাঠি বা পোল। তার চারপাশে রাখা হয় ছোট ছোট তিব্বতি নকশার টেবিল। টেবিলগুলির ওপর রাখা থাকে – পবিত্র জল, চাল, ময়দা আর মাখনের তৈরি তরমা এবং ধূপকাঠি। প্রচুর পর্যটকদের আগমন ঘটে এই বিস্ময়কর মেলা দেখতে। মেলায় অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় এক বিশেষ চা দিয়ে। ভাবছেন এখানেই শেষ? না না, সাথে থাকে চমরী গাইয়ের দুধ দিয়ে তৈরি মাখন আর বার্লির রুটি, যার স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো।
এছাড়া মেলার আকর্ষণ, শিল্পীদের লোকসংগীত। আর থাকে ঐতিহ্যবাহী নাচ। নানারকম রঙিন পোশাকে বহু ছেলে মেয়ে অংশ নেয় তাতে। এই মেলায় অনেকেই খুঁজে নেন নিজের জীবন সঙ্গীকে। এখানে দেখা মেলে বহু লামার। এসব ছাড়াও মেলায় পাওয়া যায় নানারকম পোশাক, গয়না, শাল, ঘর সাজানোর জিনিস। আর পাওয়া যায় গৌতম বুদ্ধের অপূর্ব সব মূর্তি। আধ্যাত্মিক এই মেলা হলো লাদাখি এবং তিব্বতিদের মিলনস্থল। ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত মেলা হলো এই হেমিস গুম্ফা মেলা। চারিদিকে এই টেকনোলজির বেড়াজাল ভেঙে, ঘুরে আসুন এই মেলায়, মন্দ হবে না। স্বাদ পাবেন, ঐতিহ্যে ভরপুর পরিবেশের!
Discussion about this post