পারদের কাঁটা এখন বেশ নিচের দিকেই। আর ডিসেম্বর মাস মানেই সবার মনে বড়দিনের ছোঁয়া। সারাবছর যে কোনও অনুষ্ঠানেই প্রায় ক্রিম কেক একচেটিয়া রাজ করলেও বড়দিনে বেকারির কেক, পাউরুটি ছাড়া যেন ঠিক জমে না। কলকাতার নামীদামী বেকারি তো রয়েছেই। কিন্তু কাশ্মীরের কিছু রুটি কারখানা বা বেকারির সুস্বাদু কিছু খাবার পাতে পড়লে মন্দ হবে কি? পহেলগাম এবং কাশ্মীরের বেশ কিছু ছোট ছোট বেকারিতে তৈরি হওয়া এক ধরনের রুটি মাতিয়ে রেখেছে ভূস্বর্গের রাজধানীসহ বেশ কিছু অঞ্চলে। স্থানীয় ভাষায় এর নাম চোট, আবার বেশি বিখ্যাত গিরদা নামে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আসলে কী এই গিরদা!

বাঙালিদের সকালের ব্রেকফাস্টে যেমন পাউরুটির কদর, ঠিক তেমন কাশ্মীরের ব্রেকফাস্ট জমে যায় গিরদার সঙ্গে। সেখানকার স্থানীয়রা অনেকেই তাদের বিখ্যাত গোলাপি চায়ের সঙ্গে বা মাখন দিয়ে গিরদা খেতে পছন্দ করেন। তৈরিও হয় খুব সহজেই। শুধুমাত্র ঘি আর ময়দা দিয়ে তৈরি হয় এই রুটি। প্রথমে ভালো করে ময়দা মেখে নিয়ে লেচি তৈরি করা হয়। তারপর জল দিয়ে হাতের কায়দায় লেচিগুলোকে বড় করে আঙুলের শৈল্পিক কায়দায় গড়ে তোলা হয় এই খাবারটি। তারপর গনগনে তন্দুরের মধ্যে হালকা পুড়িয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যায় গিরদা। ঝুড়িতে করে বিক্রি হয় মাত্র ৫ টাকা প্রতি পিসে।

এই গিরদা আসলে কাশ্মীরের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। শুধুমাত্র জলখাবারে নয়, কাশ্মীরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও বেশ কদর রয়েছে এই খাবারটির। কোনো আমিষ পদের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় গিরদা। তবে আকারে সেগুলো হয় একটু বড়। এখনও শ্রীনগরে বেশ কিছু পুরনো বেকারি রয়েছে যেগুলো ধরে রেখেছে এইসব ঐতিহ্যবাহী নানান পদ। সেখানকার বেকারিগুলোতে এটি ছাড়াও আরও অন্যান্য খাবার যেমন তেলভোর, কচৌরি ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস তৈরি হয়। তাই টাটকা ও সুস্বাদু কাশ্মীরি পদগুলো পেতে হলে অবশ্যই ঢুঁ মারতে হবে সেখানকার বেকারিগুলিতে।
চিত্র ঋণ – Khyenchyen







































Discussion about this post