“জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে” কথাটি কেবল কথাতেই আটকে আছে। স্কুল কলেজে ভর্তি হোক বা কোনো চাকরির পরীক্ষা, পক্ষপাতিত্ব হয়েই থাকে। আর তাও তা শুধুমাত্র জাতিকে কেন্দ্র করে। জেনারেল, এস সি, এস টি এবং ও বি সি এই চার ঘরের মধ্যেই চলতে থাকে সুযোগের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। দেশ মোট জনগণের মধ্যে ১৬.৬% মানুষ এসসি, ৯% মানুষ এসটি, ৪১% মানুষ ওবিসি, এবং অবশেষে ৩০% মানুষ জেনারেল হিসেবে রয়েছে। সেক্ষেত্রে বারবার জেনারেলদের জন্য বেশি নম্বর বা বেশি পয়সা দিয়ে কোনো ফর্ম ফিল আপ হতে দেখা যায়। সাম্যতা বজায় নেই একেবারেই। জেনারেল বাদে বাকিদের অনেক ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হয়। আর জাতি ধর্ম নিয়ে সাম্যতার বার্তা প্রকাশ করতেই নতুন উদ্যোগ কৃষ্ণ দাসের।
তাঁর নতুন ভাবনা শুধুমাত্র জেনারেল কাস্ট স্টুডেন্টদের জন্য কোচিং ক্লাস। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য পড়ানো হবে তাদের। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকেই এ উদ্যোগ কার্যকর হয়েছে। পেশায় কৃষ্ণ দাস শিক্ষক না হলেও নেশায় তিনি শিক্ষক। আর সেই থেকেই এ উদ্যোগ। যদিও কৃষ্ণ দাস একা নন। তাঁর সঙ্গে আছেন অন্যান্য কয়েকজন শিক্ষকও।
নতুন ভাবনা শুধুমাত্র জেনারেল কাস্ট স্টুডেন্টদের জন্য হলেও তারা নজর রাখছেন মেধার দিকেও। কৃষ্ণ দাস জানান, “মেধার কোনো জাতি হয় না, যদি মেধা না দেখে আমরাও জেনারেল বলেই সুযোগ দিতে থাকি তাহলে আমরাও সাম্যতা আনতে ব্যর্থ হবো। তাই আর্থিকভাবে দুর্বল অথচ মেধাবী এমন স্টুডেন্টদের জন্যও আমাদের কোচিং সেন্টারের দরজা খোলা।” কৃষ্ণ দাস এবং তার সাথীদের একটাই উদ্দেশ্য জাতপাত নিপাত যাক।
Discussion about this post