বিচিত্র প্রাণীজগতের কত জীব যে আমাদের জানার বাইরে তার ইয়ত্তা নেই। সারা পৃথিবীতে এমন সব বিচিত্র ও অজানা প্রাণী রয়েছে যার সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত নই। এ সকল অজানা ও চমৎকার সব প্রাণী যেমন সুন্দর তেমনি এর মধ্যে অনেকেগুলোই আমাদের লোকচক্ষুর বাইরে। আবার কিছু কিছু বিলুপ্তপ্রায় প্রানী। এমনই এক বিচিত্র প্রায় প্রানীর নাম ফোসা। হ্যাঁ, নামটা শুনে খটমট ঠেকছে তো! নিশাচর এই প্রাণীটি দেখতে বেচারা হলেও লেমুর ও অন্যান্য ছোটোখাটো প্রানীর কাছে এটি খলনায়ক।
৬ ফুট লম্বা এই প্রানীর মূলত বসবাস পূর্ব আফ্রিকায়। লালচে বাদামী বর্ণে। দেখতে অনেকটা কুকুর ও বেড়ালের মাঝামাঝি। আর শরীরের অর্ধেকটাই লেজ। প্রজননকালে স্ত্রী ফোসা একটা নির্দিষ্ট গাছে চড়ে বসে। গাছের নীচে এলাকার সমস্ত পুরুষ ফোসা জড় হলে তখন সে একজন সঙ্গী পছন্দ করে নেয়। ভয় পেলে এদের গ্ল্যান্ড থেকে একধরনের গন্ধযুক্ত তরল নিঃসৃত হয়। সৃষ্টিকর্তা তার অপার মহিমা নিয়ে আমাদের এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। করেছেন প্রানের সঞ্চার। মানুষকে করেছে সৃষ্টির সেরা জীব। পৃথিবীতে৯ মিলিয়ন প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে এমন কিছু চেহারার প্রাণী রয়েছে যেগুলো দেখলে মনে হবে এগুলোর অস্তিত্ব কি আসলেই রয়েছে? এই প্রাণীগুলোর অস্তিত্ব পৃথিবীতে আছে ঠিকই, আবার এদের ঘিরে আবর্তিত হয়েছে নানা গল্পকথা।
পূর্ব আফ্রিকার সবচেয়ে বড় শিকারী প্রাণী ফোসাদেরকে স্থানীয়রা খুব একটা সুনজরে দেখে না। প্রবাদ আছে, ফোসারা নাকি কাউকে চেটে দিলে সে অবশ হয়ে যায়। তখন ফোসা এই অবশ মানুষটিকে জ্যান্ত খেয়ে ফেলে। কুসংস্কার ছাড়াও ফোসারা হাসঁ মুরগী তুলে নেয়, এসব অভিযোগ তো রয়েইছে। সব মিলিয়ে কল্পনা আর রাতের মায়াজালের অন্তরালে আজও রহস্যময় ‘ফোসা’।
Discussion about this post