ভালোবাসার সপ্তাহে চুমুর দিন থাকবে না, তা আবার হয় নাকি! তালিকা মেনে ১৩ই ফেব্রুয়ারি রয়েছে কিস ডে। অর্থাৎ চুমু দিবস। তবে গোটা ফেব্রুয়ারি জুড়েই বসন্ত, প্রেমের মরসুম। বলা হয়, চুমু খাওয়া একটা আর্ট। তবু মাঝে মাঝে সেই আর্টের পারদর্শিতাও যায় ঘেঁটে। আবেগের ঢেউ একেবারে ভাসিয়ে নিয়ে যায় যুগলকে। একটি ঘটনায় দেখা গিয়েছে, চুমু খাওয়ার সময়ে মেয়েটির কানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। চুমু খাওয়ার সময়ে পুরুষটি তার সঙ্গীর মুখের ভেতরের হাওয়া টেনে নিয়েছিল সাংঘাতিকভাবে। এতে মহিলার গলার ভিতরে বায়ুচাপ কমে যায়। কান আর গলার মাঝে যে সংযোগ টিউব (Eustachian tube) এর ওপর প্রভাব পড়ে। আর সেই সাথে মেয়েটি কালা হয়ে যায়।
আবার চুমু নিয়ে অন্য আরেকটি ঘটনায় দেখা যায়, প্রেমিকাকে অতিরিক্ত উত্তেজনায় চুমু খেতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে যায় প্রেমিক। আর প্রেমিকা হঠাৎ এতটাই জোরে মাথা ঝাঁকিয়ে ওঠে, প্রেমিকের নাক ভেঙে যায় তাতে। আমরা জানি চুমু খেলে মন মেজাজ ফুরফুরে হয়। তবে অসাবধানতায় চুমু খেলে ঘটতে পারে এমন সাংঘাতিক কিছু কান্ড। এ জন্যই বোধহয় বলে অতিরিক্ত উত্তেজনা ভালো নয়।
যদিও চুমুর মাধ্যমে চলে ব্যাকটেরিয়ার আদান প্রদান। তবে চুমুর ভালো দিকই রয়েছে বেশি। চুমু খেলে আমাদের শরীরে এন্ডরফিন নামে একটি হ্যাপি হরমোন ক্ষরিত হয়। মন ভালো থাকার এটা একটা কারণ বটে। দাঁতের ক্ষয় রোধ করে চুমু। সাথে চলে মুখের প্রায় ৩০টি পেশির চলন। আর হৃৎপিন্ডের ওঠা নামা সে তো হতেই থাকে চুমু মিশ্রিত ভালোবাসায়। তাই চুমু খান, তবে সাবধানতা অবলম্বন করে।
Discussion about this post