রমজান মাস চলছে। রোজার শেষে ইফতার, বিভিন্নরকম খাবারের মুখরোচক স্বাদ-গন্ধ আর ঈদের জন্য দিন গোনাও চলছে। দুই বাংলায় রীতিমত সাজ সাজ রব। তারই মাঝে বাংলাদেশের এই গ্রামের মহিলারা বুনে চলেছেন টুপি। যে টুপি পরে সাধারণত ইসলাম ধর্মের পুরুষেরা নামাজ পড়েন, সেই টুপি। টুপি বানানোর দলে রয়েছেন বিভিন্ন বয়সের মহিলারা। ঈদের ঠিক আগে, তাঁদের কাজ বেড়ে গেছে আরও দশগুণ!

বিলকাজলি গ্রামের এই টুপিপল্লীর নারীরা এখন ভীষণ ব্যস্ত। বাংলাদেশের বগুরার ধুনোট উপজেলার মধ্যে অবস্থান করছে এই বিলকাজলি গ্রাম। ঈদ-উল-ফিতর কে সামনে রেখে তুখোর হাতে গ্রামের নারীরা বুনে চলেছেন একের পর এক সাদা টুপি। কর্মমুখর এই গ্রামে একটু ঢুঁ মারলেই দেখা যাবে কিশোরী থেকে বৃদ্ধা- কাজে ব্যস্ত সকলেই। তাঁদের তৈরি টুপি মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য ইসলামধর্মপ্রধান দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। এই ঈদের আগে তাই তাঁদের তৈরি টুপির চাহিদা বেশ বেশি।

বিভিন্ন বয়সী টুপি শিল্পীদের মধ্যে কোনো কিশোরী টিফিনের হাতখরচের জন্য টুপি বুনছে, কোনো মহিলা তাঁর ছোট্ট ছেলেকে কোলে নিয়ে টুপি বুনে সময় কাটাচ্ছেন, কারো কাছে আবার টুপি বোনার টাকা অত্যন্ত দরকারি হয়ে উঠেছে সংসারের জন্য। তবে বেশিরভাগ মহিলাই এই কাজ করেন নিজের স্বাচ্ছ্যন্দের জন্য। ঈদে নিজের হাতখরচের জন্য, যাতে নিজের জন্য কিছু কিনতে পারেন, নিজের পছন্দমত খাবার খেতে পারেন। আর এই টুপি যে শুধু ইসলাম ধর্মের নারীরাই বানান, তাও নয়। হিন্দু নারীরাও একইসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করেন।
Discussion about this post