আজকের দিনে পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি ভীষণ দরকারী বিষয় সুস্থ জীবনযাপন ও তার অভ্যাস। সভ্যতা এমন এক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যেখানে পানীয় জল নিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। এই মুহূর্তে বাঁচার পথ একটাই, পরিবেশেকে বাঁচিয়ে রাখা। তাই প্রকৃতি, কর্ম ও পরিবেশ এই তিনটের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন খুবই প্রয়োজনীয়।
![](https://dailynewsreel.in/wp-content/uploads/2020/03/89299083_2265568643752627_8038462144108298240_n-3.jpg)
বিয়ে এমন এক সামাজিক অনুষ্ঠান যেখানে একসঙ্গে বহু মানুষের দেখা হয়। তাই এই ধরনের অনুষ্ঠান প্রায় সব ধরনের মানুষকে পরিবেশ সুরক্ষার শিক্ষা দেওয়ার এক উপযুক্ত মঞ্চ। বর্তমানে এই ধরনের অনুষ্ঠানেগুলোতে থার্মোকল এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। প্রকৃতিকে বাঁচাতে অভূতপূর্ব উদ্যোগ নিয়েছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাপস পাল। বিয়ের আমন্ত্রণপত্র থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানের সাজ-সজ্জা যতটা সম্ভব পরিবেশ বান্ধব করে তোলার দিকে নজর দিয়েছেন তিনি। আমন্ত্রণপত্র এমন হবে, যা জল সঞ্চয় করে রাখতে পারে। থার্মোকল বা প্লাস্টিকের থালা-গ্লাস-বাটির পরিবর্তে মাটির পাত্র দিয়েই হবে অতিথি আপ্যায়ন করা হবে। অনুষ্ঠানের সাজ-সজ্জাও বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
![](https://dailynewsreel.in/wp-content/uploads/2020/03/89904621_555987831678575_7463020248241799168_n-1.jpg)
এছাড়াও ‘একটি বিবাহ – একটি বৃক্ষরোপণ’ এই ধরনের কর্মসূচিও তাপস বাবু চালু করেছেন। নব-দম্পতি বিয়ের পর নিজের হাতে একটি করে চারাগাছ পুঁতবেন। তারপর সেই চারাগাছটির সঙ্গে তাঁরা সেলফি নেবেন। এটিকে বলা হবে ‘পরিবেশ বান্ধব বা ইকো-ফ্রেন্ডলি সেলফি’। সেই বিয়েতে হাজির প্রতিটি অতিথিকে প্রথমে গাছকে রাখি পরাতে হবে। প্রত্যেকটি রাখি প্লাস্টিক মুক্ত ও পরিবেশ গবেষকদের বানানো হওয়া চাই।অতিথিদের বিদায়ী উপহার হিসাবে একটি করে চারাগাছও দেওয়া হবে। এই ধরনের ‘ইকো-ফ্রেন্ডলি’ বিয়ের অনুষ্ঠান পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করবে। এমনটাই মনে করছেন ‘পরিবেশ বান্ধব’ অধ্যাপক ড. তাপস পাল।
Discussion about this post