আজ এক এমন মাছের কথা বলবো যা আমাদের সকলেরই পরিচিত। সেটা হল ডলফিন। এই ডলফিন মাছকে নিয়ে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় হয় নানা ধরনের খেলা বা শো। তবে গত রবিবার এই মাছকে কেন্দ্র করে ঘটে গেছে এক নৃশংস ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটে নরওয়েজিয় সাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত ডেনমার্কের অধীনস্থ ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জে। এখানে রয়েছে এক প্রাচীন অদ্ভুত নৃশংস শিকার উৎসব। যার নাম গ্রিন্ডাড্র্যাপ। এই উৎসবের নামে হত্যালীলা চালানো হয় জলজ প্রাণীদের ওপর। সেই উৎসবের জন্যই গত রবিবার হত্যা করা হয় ১৪০০ ডলফিনকে। জল তাদের রক্তে হয়ে ওঠে লাল। জানা যায় ডলফিন গুলোকে তারা করে এক জায়গায় জড়ো করে তাদেরকে ধরলো ছুরি দিয়ে হত্যা করে। শুধু তাই নয় সেই মৃত মাছগুলোকে আবার উপকূলে এনে খাওয়ায় জন্য তা বিতরণও করা হয়। যা পাড়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন একদল মানুষ। ওখানকার সরকার জানিয়েছে প্রতি বছর প্রায় ৬০০ পাইলট তিমি হত্যা হলেও এই পরিমাণে ডলফিন হত্যা এই প্রথম।
ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের ডেনমার্কের সাংসদ সজুরদুর স্কেলে বলেন, সাদা ডলফিনকে হত্যা করা “আইনি কিন্তু এটি জনপ্রিয় নয়”। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় তিনি একপ্রকার শিকারীদের সমর্থন করেই বলেন মানুষ নাকি ক্ষিপ্ত ছিল তাই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন এটা নাকি ‘মানবিক’ উপায়ে করা যেত! তাঁর মতে প্রাণী কল্যাণের দৃষ্টিকোণ থেকে গরু বা শুকরের মাংস সংগ্রহের চেয়ে এভাবে মাংস সংগ্রহ নাকি অনেক বেশি ভালো। একটা সার্ভে থেকে জানা গেছে ৫০ শতাংরেও বেশী মানুষ জানান যে এই কাজ ঠিক হয়নি। তবে ৩০ শতাংশ মানুষ এমনও আছেন যারা সমর্থন করেন এই নৃশংসতাকে। এই নৃশংসতা সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সকলেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। এভাবে উৎসবের নামে হত্যালীলা আগামীদিনেও চলতে থাকলে জলজ বাস্তুতন্ত্র যে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা বলাই বাহুল্য।
Discussion about this post