বাজি ও ডিজে বক্স বিরোধী মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক গৌতম সরকার মহাশয়ের উদ্যোগে ২ এপ্রিল, রবিবার, শ্রীরামপুর টাউন হলে আয়োজিত হল একটি নাগরিক কনভেনশন। উপস্থিত ছিলেন সবুজ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক নব দত্ত, সঙ্গে চন্দননগর পরিবেশ অ্যাকাডেমির সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীরামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রমুখগণ। বিশেষত ডিজে আর বাজির বাড়বাড়ন্তে অনেক মানুষই হন হয়রানির শিকার। কখনো অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুরাহা মেলে না তাদের। তাই তারা যাতে তাদের অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন,সেই বিষয়ে আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্যেই আয়োজিত হয়েছিল এই জনসভা। তাই তারাও তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে উপস্থিত ছিলেন এই সভায়।
করোনার সময় থেকে গত দুবছর ধরে বাজি ও ডিজে বক্স বিরোধী মঞ্চ ধারাবাহিকভাবে শব্দদূষণ প্রতিরোধে সামিল হয়েছেন। বাজি ও ডিজে-র বিরুদ্ধে তাদের সার্বিক কর্মকাণ্ডের খবরগুলোকে সংকলিত করতে তারা এবার একটি বই প্রকাশ করেছেন। সেই বইটির উদ্বোধন হয়েছে এই সভায়। উদ্বোধন করেছেন সম্মানীয়া সাংবাদিক স্বাতী ভট্টাচার্য্য। বইটিতে রয়েছে বাজি ও ডিজে-র বিরুদ্ধে কিছু আইনকানুন, যেমন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, গ্রিন বেঞ্চ, সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টের কিছু নির্দেশিকা। পাশাপাশি রয়েছে বিরোধী মঞ্চের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে প্রকাশিত নানা লিফলেট, প্রচারপত্র ইত্যাদির নমুনা।
সাধারণ সম্পাদক গৌতম সরকারের কথায়, অনেকসময় মানুষ একা প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বহু প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়। তাই মানুষ যদি দলবদ্ধভাবে একটি ফোরাম তৈরি করে রুখে দাঁড়ায় তাহলে মানুষ অনেকখানি ভরসা পাবেন। এটাও জনসভার আরেকটি বড় উদ্দেশ্য। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন-যাপনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে দূষণ। নিজেদের সাধ পূরণের জন্য আমরা ক্রমাগত পরিবেশের ক্ষতি করে ফেলছি। ডিজে আর বাজি হল সেইরকমই সাধ পূরণের জন্য ব্যবহার করা পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর দুটো জিনিস। তাই এই দুটি জিনিসকে পুরোপুরিভাবে বন্ধ করাটাই শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি। সব মিলিয়ে উপস্থিত সকলেই বাজি ও ডিজে বক্সের বিরুদ্ধে একসাথে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন এই জনসভায়।
Discussion about this post