গত ১৭ই জুন একটি স্মরণীয় দিনের সাক্ষী হয়ে রইল চন্দননগর কলেজ এবং ইন্টিগ্রেটেড ইন্সটিটিউট ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন সংস্থা (IIARI)। পরিবেশ সচেতন সমাজ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি হিসেবে হাজির ছিলেন চন্দননগর কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ দেবাশিষ সরকার, IIARI-এর ডিরেক্টর রাহুল চক্রবর্তী, চন্দননগর কলেজের ভূগোল স্নাতকোত্তর বিভাগের প্রধান ডঃ গুণধর মান্না এবং সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মৈত্রেয়ী দাস। ছিলেন ডঃ অয়ন দাশগুপ্ত, ডঃ দেবস্মিতা বিশ্বাস, শ্রীমতী মিঠু হালদার, প্রমুখ ওয়েষ্ট বেঙ্গল এডুকেশন সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত সহকারী অধ্যাপকেরা। উপস্থিত ছিলেন IIARI এর রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট তানিয়া সেন এবং IIARI-এর স্বাগতা, অভিনন্দন, দিয়া, আসিফ প্রমুখ শিক্ষানবিশেরা।
এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হল ছাত্রদের প্রশিক্ষিত করে তোলা, গবেষণায় সাহায্য, পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তোলা এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য সরাসরি যুক্ত হওয়া। চন্দননগর কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ বাবু এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “আমরা IIARI-এর সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতামূলক কাজে যুক্ত হতে পেরে উৎসাহিত ও আশান্বিত বোধ করছি। আশা করি আমরা একসঙ্গে কাজকর্মের মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশগতভাবে আরো দায়িত্বশীল করে তুলতে পারব।”
IIARI-এর ডিরেক্টর রাহুল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “প্রায় সাড়ে পাঁচশ বীজ পেন্সিল সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণের মাধ্যমে আমরা মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে একটি গভীর সংযোগ লালন করার চেষ্টা করেছিলাম পরিবেশ দিবসের দিন। এখন চন্দননগর কলেজের সঙ্গে আমাদের এই সংযোগ আশা করি আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে পরিবেশ সচেতনতা প্রচারে সাহায্য করবে। ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় অধ্যক্ষ ডঃ গুণধর মান্না বলেছেন, “IIARI-এর তৈরি পরিবেশবান্ধব বীজ-পেন্সিলের ব্যবহার আমাদের অবাক করেছে। ভূগোলের ছাত্রদের কাছে পেন্সিল একটি নিত্য ব্যবহারের সামগ্রী। ফলে, ছাত্রদের ব্যবহারিক পাঠক্রমের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা প্রবেশ করছে। এই বিষয়টি আমাদের কাছে অত্যন্ত উৎসাহের।” উদ্যোক্তারা মনে করছেন এই সামগ্রিক প্রয়াসের মধ্য দিয়ে ছাত্ররা এবং মানবসমাজ একটি সবুজ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে পারবে, প্রাকৃতিক সম্পদকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও তারা হয়ে উঠবে হবে ক্রিয়াশীল এবং সচেতন।
Discussion about this post