সন্তানের খিদে মেটানোর জন্য রাস্তাঘাটে প্রায়শই স্তন্যপান করাতে হয় অনেক মহিলাকে। রাস্তার মাঝে সন্তানকে নিজের বুকের দুধ খাওয়াতে অসুবিধার সৃষ্টি হয় অনেক সময়ই। সম্প্রতি কলকাতার এক শপিং মলে সন্তানকে স্তন্যপান করাতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হন এক মহিলা। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাপস পাল। রাস্তাঘাটের বিভিন্ন স্থানে মাতৃদুগ্ধ সেন্টার খোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এই মর্মে আবেদন জানিয়ে রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাসের কাছেও তিনি প্রস্তাবও রাখেন। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের এক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্জিত জ্ঞানকে সমাজের কাজে লাগানোর উদ্দ্যেশেই তাঁর এই উদ্যোগ।
‘ডেইলি নিউজ রিল’এর সঙ্গে কথোপকথনে তিনি জানান, কিছু স্থানে যদি মাতৃস্নেহ ঘর বা মাতৃদুগ্ধ সেন্টার তৈরি করা যায়, তাহলে মহিলাদের বিশেষ সুবিধা হয়। রাস্তায় চলার সময় কোনো মা যদি ভাবেন বাচ্চাকে দুধ খাওয়াবেন বা তার জামাকাপড় পরিবর্তন করবেন, তাহলে সেই ঘর ব্যবহার করতে পারেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যালিটি তাদের নিজস্ব হাসপাতাল চত্ত্বরে ‘মাতৃদুগ্ধ ঘর’ চালু করেছে। কালিয়াগঞ্জ পৌরসভাও একমাসের মধ্যেই বানাতে চলেছে এমন একটি ঘর। তাপসবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যানও। রায়গঞ্জেও এই প্রস্তাবটিকে বাস্তবায়িত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে জানিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান।
Discussion about this post