চলতি বছরে প্রয়াত হলেন আরেক বাঙালি উদ্যোগপতি। মিও আমোরে এবং সেনকো গোল্ডের মালিকের পর এবার না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন বিস্কফার্মের প্রতিষ্ঠাতা কৃষ্ণদাস পাল ওরফে কেডি পাল। বিস্কফার্মকে এক জনপ্রিয় বেকারি সংস্থা রূপে প্রায় একার হাতেই গড়ে তুলেছিলেন। সেই তিনিই গত সোমবার রাতে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০।

২০০০ সালে কেডি পালের হাত ধরেই ব্যবসা মহলে প্রবেশ বিস্কফার্মের। কিছু বছরের মধ্যেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায় এই সংস্থা। নিজেদের বেকারির দ্রব্য বিপনণের জন্য ‘জাস্ট বেকড’ নামে নিজস্ব আরেকটি ফ্যাঞ্চাইজিও খোলা হয়। সেই ব্র্যান্ডের চাহিদাই এখন প্রায় আকাশছোঁয়া। তবে এই জনপ্রিয়তার পিছনেও এক গল্প। এক লড়াইয়ের গল্প। বাবার ছিল দুধের ব্যবসা৷ বাবাকে সাহায্য করতেই একসময় কলকাতার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন কৃষ্ণদাস পাল। বাবা মারার যাওয়ার পর সেই দুধের ব্যবসাই নিজের হাতে সামলেছেন তিনি। একসময় ব্রিটানিয়া, ডাবর, হরলিক্সের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন কেডি। তারপর নিজের শেয়ার বিক্রি করার মূলধনকে পুঁজি করেই ২০০০ সালে খুলে ফেললেন ‘এসএজি ফুড প্রোডাক্টস’ নামক এক বেকারি সংস্থার। সেই সঙ্গেই বাজারে আত্মপ্রকাশ ঘটল নতুন এক ব্র্যান্ডের, ‘বিস্কফার্ম।

কেডি পালের পর বর্তমানে তাঁর ছেলে অর্পণ পালের হাতেই এখন এই বেকারি-সাম্রাজ্যের যাবতীয় দায়িত্ব। গোটা দেশের মধ্যে বেকারি ব্যবসায় ব্রিটানিয়ার পরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিস্কফার্ম। মোট সাড়ে তিন হাজার কর্মীও যুক্ত রয়েছেন এই সংস্থায়। ব্যবসার পরিমাণ প্রায় ১২০০ কোটি টাকার। আজ কেডি পাল নেই ঠিকই, তবে তাঁর একার হাতেই গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠান যে আগামী দিনেও লক্ষ্মী লাভের আশায় আরও এগিয়ে যাবে এ কথা আজ বেশ জোর দিয়েই বলা চলে।
Discussion about this post