নেদারল্যান্ডের নিজমেগেন শহর, যেখানে রয়েছে একটি বিশেষ কবরস্থান। মানসিক চাপ কমাতেই পড়ুয়ারা এই কবরে শুয়ে থাকে। এর নাম ‘শুদ্ধিকরণ কবর’। নিজমেগেনের ব়্যাডবাউন্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নির্দেশে পড়ুয়ারা হতভম্ব হলেও কর্তৃপক্ষের নির্দেশ তারা অমান্য করেনি। মানসিক চাপ কাটাতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করছে তারা। তবে এই পদ্ধতির বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। প্রথমে একটি বড় জায়গায় একটি কবর খোঁড়া হয় এবং তার মধ্যে গিয়ে শুয়ে থাকতে হয় পড়ুয়াদের। যেহেতু মানসিক চাপ কমাতেই পড়ুয়াদের এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় তাই সাথে মোবাইল, বই বা অন্য কোনো কিছুই নিয়ে যাওয়া চলবে না। শুধুমাত্র মাদুর আর বালিশ নিয়ে যেতে হয়।
পরীক্ষার আগে মানসিক চাপ সহ্য করা বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অত্যন্ত কষ্টকর। এই মানসিক চাপ অসহনীয় হয়ে উঠতে উঠতে অনেক সময় পড়ুয়ারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এমন ভয়ানক সিদ্ধান্ত থেকে পড়ুয়াদের বিরত রাখতেই উপায় খুঁজে বের করেছে নেদারল্যান্ডের এই বিশ্ববিদ্যালয়। ধ্যানের ফলে মানসিক শান্তি হয় এবং শরীরও ভালো থাকে। ঠিক সেই কারণেই এমন বন্দোবস্ত করেছে ব়্যাডবাউন্ড বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এই ধ্যানের সাথে কবরের কী সম্পর্ক?
জন হ্যাকিং এই শুদ্ধিকরণ কবরের আবিষ্কারক। তিনি বলেছেন,যে কোন মানুষের কাছে মৃত্যু সম্পর্কে আলোচনা করা খুবই হৃদয়বিদারক। বিশেষ করে ১৮-২০ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের কাছে তো বটেই। তাঁর মতে, পৃথিবীতে পড়ুয়ারা যে সময়টা কাটাচ্ছে সেই সম্পর্কে ভাবতে শেখায় কবর। এর ফলে কীভাবে ভয়ের সঙ্গে লড়াই করতে হয় তা শেখা যায়। এই পদ্ধতির মাধ্যমেই পরীক্ষার আগে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন থেরাপি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
প্রতিবেদক বিনীতা দাস
Discussion about this post