কথায় আছে, ‘যস্মিন দেশে যদাচার’। তেমনই এক রীতি রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। বর্তমানে এ রীতি রয়েছে বললে ভুল হবে, এ রীতি ছিল। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কোন রীতি নিয়ে এত কথা? আসলে দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস খাওয়ার এক রীতি বহুকাল ধরে প্রচলিত ছিল।
তবে এ রীতি এবার বন্ধ হতে চলেছে। এমনটাই জানিয়েছে এ দেশের শাসকদল পিপলস পাওয়ার পার্টি। এই দশক পুরনো প্রথা ধীরে ধীরে দেশের যুব সমাজের পছন্দের তালিকার বাইরে স্থান পায়। যুব সমাজ এই নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তাছাড়া আন্তর্জাতিক স্তরের পশুপ্রেমীরা এ খাদ্যাভ্যাসের ঘোর বিরোধিতা করেন। এর পর থেকেই শাসকদলের এই সিদ্ধান্ত। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে অন্তত তিন বছর সময় লাগবে।
রেস্তোরাঁ মালিকদের জীবিকা নিয়ে উদ্বেগের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস ভক্ষণবিরোধী অ্যান্টি-ডগ মিট বিল অতীতে ব্যর্থ হয়েছে। কুকুরের মাংস খাওয়া। যদিও কিছু বয়স্ক মানুষ এখনও কুকুরের মাংস খান।
সেদেশের ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হি কুকুরের মাংস খাওয়ার একজন সোচ্চার সমালোচক। আর তাঁর স্বামী, রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওল সহ অনেকেই সেখানে বিপথগামী কুকুর দত্তক নিয়েছেন। এ এক বিরল ঘটনা। কোরিয়ান উপদ্বীপগুলোতে কুকুরের মাংস খাওয়া একটা প্রাচীন অভ্যাস। শোনা যায়, এটি গ্রীষ্মের তাপকে হারানোর উপায়। ধীরে ধীরে কমছে এ রীতি। কিছু রেস্তোরাঁতে এ মাংস পাওয়া গেলেও তা খুবই কম।
Discussion about this post