বাঙালি বাড়ির দিন চা ছাড়া শুরু হবে, এটা ভাবাই যায় না। তবে এবার আর বাড়ির চা নয়। কলকাতায় শুরু হয়েছে এক অন্যরকম চায়ের দোকান। এ দোকানের মূল উদ্যোক্তা পার্থপ্রতিম গাঙ্গুলীর এই চিন্তা চা প্রেমীদের জন্য এক আলাদা আনন্দের বিষয়। এ দোকান হয়ে উঠেছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চায়ের ভাণ্ডার। আইস টি, মিন্ট টি সহ নানান রকম ফ্লেভারড টি।
কলকাতা মেডিকা হাসপাতালের উল্টোদিকে তার টি স্টল। নির্যাস। নামেই লুকিয়ে রয়েছে এক অদ্ভুত আকর্ষণ। সমস্ত দামী চা নিয়ে দোকান হলেও গ্রাহকদের চাহিদা একটুও কমেনি। আসলে চা পাতাগুলো অনেকদিন ধরে ব্যবহার করা যায়। ১৫ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দামের চা পাওয়া যায় এখানে। পার্থপ্রতিম বাবুর মতে, নানান ধরনের চায়ের মধ্যে রয়েছে নানান ঔষধি গুণ। তাই ওষুধের জন্য বরাদ্দ খরচে খুব সহজেই কিনে নেওয়া যেতে পারে চা। চাকরি ছেড়ে ২০১৪ সালে তার এই ব্যবসার সূত্রপাত।
নিয়মিত ওষুধের চেয়ে নিয়মিত চায়ের অভ্যেস স্বাদ বজায় রাখতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন প্রজাতির চায়ের মধ্যে রয়েছে মকাইবাড়ি, ডার্ক টি, হোয়াইট টি ইত্যাদি। তিনি এই সমস্ত চা সংগ্রহ করেন রাসায়নিক ছাড়া চাষ হওয়া বাগান থেকে। এতে চায়ের ভেষজ গুণ অক্ষুণ্ণ থাকে। মাস্কাটেল, ব্লু টি, ল্যাভেন্ডার, চামোমিল বিভিন্ন প্রজাতির চা হাতের কাছে পেয়ে গুণে মুগ্ধ চা প্রেমীরা। এ ধরণের চা’য়ে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যাটেচিন, সাইক্লোটাইড জাতীয় যৌগ থাকে, যা কোলেস্টেরল কমায়, ধমনী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। আর তাছাড়াও হৃদযন্ত্রকে সচল রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য সচেতনতার নতুন দরজায় পা রাখতে সকলকে সব সময়ে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পার্থপ্রতিম বাবু।
Discussion about this post