বাঙালির কাছে গ্রীষ্মের রসালো ফল কাঁঠাল মানেই সকাল বেলা পাকা রসালো কোয়ার সাথে মুড়ি দিয়ে মেখে খাওয়া। মুড়ি ছাড়াও হাপুস হুপুস খেয়ে নেওয়া। আবার এচোঁড়ের তরকারি মানেই অমৃত রান্না। গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ বারোমাসি কাঁঠালের জিনোম সিকোয়েন্স উদ্ভাবনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাঁঠাল খাওয়ার একাধিক উপায় তুলে ধরেন। তিনি তুলে ধরেন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাঁঠালের গুরুত্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন উন্নত বিশ্বের মানুষ মাংস খেতে চায় না। মাংসের পরিবর্তে কাঁঠাল খায়। কাঁচা কাঁঠাল তথা এঁচোড়ের বার্গার ও কাবাব হয়। কাঁচা কাঁঠালের বার্গার মাংসের বার্গারের চেয়ে দামে বেশি। এ ফলটির কিছুই ফেলনা নয়। সবকিছুই কাজে লাগানো যায়।
শুনতে খুব অদ্ভুদ লাগলেও ঘরে খুব সহজেই তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। কারণ কাঁঠালে রয়েছে নানা রকমের পুষ্টি এবং খনিজ উপাদান। যা আমাদের শরীর সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে কাঁঠাল। আমরা জানি কাঁঠাল কাঁচা এবং পাকা দু’ভাবেই খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল বলুন কিংবা এঁচোড়, এর তরকারির ভক্ত অনেকেই। সবজি হিসেবে খাওয়া যায় এই ফল। কাঁঠালের তৈরি এই বার্গার খেতে খুবই সুস্বাদু। তৈরি করতেও ঝামেলা কম। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে খুব সহজেই কাঠালের বার্গার তৈরি করবেন।
কাঁঠালের বার্গার বানানোর জন্য আপনার যেসব উপকরণের প্রয়োজন হবে সেগুলি হল কাঁচা কাঁঠাল, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ, বেসন ২ টেবিল চামচ, টমেটোর সস ২ টেবিল চামচ, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, গোলমরিচের গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, ব্রেডক্রাম ২ টেবিল চামচ, তেল ও লবণ। প্রথমেই কাঁঠাল সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে বেটে নিতে হবে। তারপর কাঁঠালের সঙ্গে তেল বাদে বাকি সব উপকরণগুলো খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। ওভেনে ফ্রাই প্যান বসিয়ে ২ টেবিল চামচ তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে পেটিগুলো অল্প তেলে ভেজে নিতে হবে। বার্গারের বনটি মাঝখানে পাশ দিয়ে কেটে একটু সেঁকে নিতে হবে। বনের নিচের অংশ সস মেখে বার্গারের পেটি বসিয়ে দিতে হবে। বনের নিচের অংশ সস মেখে বার্গারের পেটি বসিয়ে দিতে হবে। পেটির ওপরে টমেটো, শসা দিয়ে ওপরে আর একটু সস দিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল মজাদার কাঁঠালের বার্গার।
Discussion about this post