শীতের কথায় কাঁপুনির সাথে জিভে জল আসে সঙ্গী হয়ে। পিঠে পুলি খাবার এই তো সময়! আর তাদের দোসর গুড়। নতুন গুড়ের সন্ধানে প্রতি বছর রীতিমত তল্লাশি চলে। তার জন্য চাই খেজুরের রস। একেবারে খাঁটি। ঠিক এই খেজুর রস সংগ্রহের কাজেই নভেম্বর মাস থেকে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গাছিরা। সে রস থেকে তৈরি করা হয় খাঁটি পাটালি গুড়।
উপজেলার বানেশ্বর, বেলপুকুর, ভালুকগাছী ও ঝলমলিয়ায় প্রচুর খেজুর গাছ দেখতে পাওয়া যায়। আবার বাণিজ্যিক ভাবেও তৈরি করা হয়েছে খেজুর বাগান। এই গাছগুলো থেকে রস সংগ্রহ করেই তৈরি হয় গুড়। নতুন পাটালি গুড়ের বেশ ভালো দাম পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিক্রেতা। উপজেলার ধলাট এলাকার গাছি উজ্জ্বলের থেকে জানা গিয়েছে, গত বছর প্রায় ৮০-১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে গুড়।
ওই এলাকার ওবাইদুল ও আব্দুল মমিনের কথায়, এ বছর গুড়ের দাম উঠতে পারে ১৩০-১৫০ টাকা কেজি দরে। শীতের সঙ্গে গুড়ের মিষ্টি স্বাদ যেন ক্রমশ বাড়তে থাকে। তাই এর চাহিদার আর শেষ নেই। তার জোগান দিতেই প্রস্তুত উজ্জ্বল ওবাইদুল ও আব্দুল মমিনের মত বিক্রেতারা। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার এটাই এক অন্যরকম বৈশিষ্ট্য। যদিও বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যক্তির দ্বারা গুড় হয়ে উঠছিল ভেজাল।
তবে সব কিছুরই মুক্তি থাকে। চিনি মেশানো ভেজাল গুড় তাই দ্রুত বিদায় নিচ্ছে বাজার থেকে। ফিরে আসছে গুড়ের সঠিক মান। এ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে গুড় কেনা বেচা চলছে অনলাইনের মাধ্যমে। এ উদ্যোগ ‘রাজশাহী ফুড শপ’ নামে একটি অনলাইন পেজের। যার মালিক জুবায়ের হোসেন। তিনি বলেন, “বাজারের গুড় চিনিযুক্ত থাকায় আমরা গাছ মালিককে অর্ডার দিয়ে চিনিমুক্ত আসল খাঁটি গুড় দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছি। যার বর্তমানে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এতে সঠিকভাবে গাছের পরিচর্যা এবং গুড় উৎপাদনের পদ্ধতি দুইই বজায় থাকে।”
আরও পড়ুন এই ভেজাল দুনিয়ায় নির্ভেজাল গুড়ের বিশ্বস্ত ঠিকানা নদিয়ার মাজদিয়া! (dailynewsreel.in)
Discussion about this post