অবশেষে এবার মাস্কবিহীন অবস্থায় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার আয়োজন! দক্ষিণে মাহেশের রথ, মহিষাদল, গুপ্তিপাড়া থেকে উত্তরে কোচবিহার রাজবাড়ির রথযাত্রা। ইতিহাস আর ঐতিহ্য মিলেমিশে এখানকার রথযাত্রার সুখ্যাতি ভারত জুড়ে। দাদা-ভাই-বোন মিলিয়ে জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি আগমন তো তাই বলে শুধু অল্প সংখ্যক জায়গায় সীমিত নেই! গ্রাম-গঞ্জ-মফঃস্বল ভক্তের মাঝে জগন্নাথ আবির্ভুত হন সবখানেই। ঠিক এভাবেই বালুরঘাটে দীপালী নগরের রথের রশিতেও টান পড়ে প্রতিবছর। বালুরঘাটের সবচেয়ে পুরনো আর ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রার মধ্যে দীপালী নগরের রথযাত্রা অন্যতম। দীপালী নগর মঠ থেকে রথ বেরোয় প্রতিবছর। ভক্তদের জোরে সেই রথ ঘোরে পুরো বালুরঘাট শহর। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জমায়েত করে ভক্তের ভিড়। রথ দেখবে অথচ কলা বেচবে না তাই কি হয়? রথযাত্রা উপলক্ষ্যে বেশ জমজমাটি মেলাও বসে।
জিলিপির গন্ধে ম-ম করা সেই মেলায় ফুচকার স্টল থেকে সৌখিন জিনিস, দোকান বসে হরেক রকমের। কেউ বা কেনে কাঁচের চুড়ি, আর কেউ বা মুচমুচে পাঁপড়ে মজে। পরিভ্রমণের মাঝে শহরবাসী ফুল-মিষ্টি হাতে দাঁড়িয়ে থাকে ঘরের দরজার। দরজায় তখন কতগুলো উদগ্রীব চোখের ভিড়। ভক্তের মাঝে তখন হাজির স্বয়ং জগন্নাথদেব। সুতরাং ভক্তের বিশ্বাসে রথের রশিতে হাত দেওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার!
বালুরঘাট শহর পরিভ্রমণের পর শেষে রথ এসে থামে নেতাজী স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে। সারাবছর রথ রাখা হয় সেখানেই। তবে শুধু ভক্তি বা ঐতিহ্যই নয় শহরবাসীর আবেগের সাথে মিশে রয়েছে দীপালি নগরের রথযাত্রা।
চিত্র ঋণ – ঋদ্ধি দে
Discussion about this post