আপাতত লক ডাউন চলছে গোটা ভারত জুড়েই। কিন্তু অফিস পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। অথচ অফিসে গেলে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা। অগত্যা ওয়ার্ক ফ্রম হোমই এখন ভরসা বিভিন্ন কোম্পানির। কিন্তু একথা বলা যতটা সহজ কাজে করা ততটা সহজ নয়। বাড়িতে শুধুমাত্র ফোন কলের মাধ্যমে একা কাজ করতে করতে অনেকেরই একঘেয়েমি চলে আসতে পারে। সম্প্রতি ‘সাইকোলজিকাল সায়েন্স ইন দ্য পাবলিক ইন্টারেস্ট’ নামক জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, টেলি-কমিউনিকেশনের মাধ্যমে অফিসের কাজ করতে গেলে অনেক সময়ই পারিবারিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই সাধারণ কিছু জিনিস মেনে চললে আপনার বাড়িতে বসে কাজ করাও হয়ে উঠতে পারে বেশ আকর্ষণীয়।
সবার প্রথমেই দরকার স্থান নির্বাচন অর্থাৎ আপনি কোথায় বসে কাজ করতে চান। বেডরুম বা শোবার ঘরে কাজ করার কথা ভুলেও ভাববেন না। বেডরুমে রাত জেগে কাজ করলে আপনার স্বামী বা স্ত্রী কিংবা সন্তান অসুবিধায় পড়তে পারে। রান্নাঘরের পাশে কোনও জায়গা বা ড্রয়িং রুমও এখানে সঠিক বিকল্প নয়। তাই এমন কোন জায়গা নির্বাচন প্রয়োজন যেখানে বসে আপনি একান্তে কাজ করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন জায়গাটি যেন বেশ খোলামেলা হয়। মাথায় রাখতে হবে, সেই ঘরে যেন বেশ বড় জানলা থাকে যা দিয়ে বাইরের আলো-বাতাস ঢুকতে পারে।
স্থাপত্যবিদ ডোনাল্ড এম র্যাটনারের মতে, আমরা আসলে আমাদের কাজের জায়গা নিয়ে সেরকমভাবে ভাবিই না। ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে গেলে বাড়ির কোনও ঘরকে এমন ভাবেই সাজানো উচিৎ যাতে সেখানে বসে কাজ করতে ভালো লাগে। তাই মানানসই রং, আলো এবং কোনও ঘরোয়া গাছপালায় সাজিয়ে কাজের জায়গাটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হয়। সোফা বা ডিভানের উপর বসেও অফিসের কাজকর্ম করতে বারণ করছেন র্যাটনার। বরং অফিসের মতোই টেবিলের ওপর ল্যাপটপ-কম্পিউটার রেখে কাজ করতে বলেন তিনি। তার পরামর্শ, একঘেয়েমি কমাতে এক-দু’ঘন্টা অন্তর ছোট ছোট ব্রেক নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোও যেতে পারে। ব্যাস, এগুলো একটু মেনে চললেই আপনার বাড়ির ওই ছোট্ট ঘরই হয়ে উঠতে পারে আদর্শ এক কাজের জায়গা। আর আপনিও পাবেন সারাদিনের একঘেয়েমির হাত থেকে মুক্তি ।
Discussion about this post