শীত মানেই হিমেল হাওয়ার পরশ কিংবা কনকনে ঠাণ্ডা অনুভূতির সাথে চারিদিকে কুয়াশা ঢাকা প্রকৃতি,তার সঙ্গে পিঠাপুলি – এ যেন এক অপূর্ব পরিবেশের মেলবন্ধন। তার সঙ্গে বাড়তি পাওনা বাহারি রঙের শীতকালীন ফুল – যা লাগানোর যথার্থ সময় হল নভেম্বর। আজকাল কলকাতা শহরে ফুল গাছের বাগান খুব একটা দেখা মেলে না। তাই এই কংক্রিটের শহরে অনেক পরিবেশ সচেতন মানুষজন বাড়ির ছাদ ও বারান্দাতেই বানিয়ে ফেলছেন বাগান।
শীতকালে নানা রকম বাহারি সুন্দর সুন্দর ফুল দেখতে পাওয়া যায়, যা দিয়ে আপনি আপনার এক চিলতে বারান্দা বা ছাদকে সাজিয়ে ফেলতে পারেন সহজেই। মানসিক শান্তির পাশাপাশি চোখেরও শান্তি মেলার জন্য প্রয়োজন যথাযথ পরিচর্যা। যারা ফুল ভালোবাসেন তাদের কাছে শীতকাল যেন আশীর্বাদ। কারণ এই সময়ে নানা প্রজাতির ফুল ফুটতে দেখা যায় – কার্নেশন, বাটারকাপ, ক্যালেনডুলা, জিনিয়া, হায়াসিন্থ, বালসাম, উইন্টার জেসমিন, গাজানিয়া ইত্যাদি। তবে এগুলি খুবই শৌখিন ফুল – যা দিয়ে বাড়ির ছাদ বারান্দা সহজেই সাজিয়ে তোলা গেলেও এদের একটু বেশি যত্ন করতে হয় । আবার আমাদের বাঙালিদের প্রিয় গাঁদা, ডালিয়া, কসমস, চন্দ্রমল্লিকা, সূর্যমুখীকেও ভুলে গেলে চলবে না- যা দিয়ে সাজিয়ে ফেলতে পারেন সহজেই।
রঙিন ফুলগুলি যেন আমাদের চোখের সাথে আমাদের মনকেও ভরিয়ে তোলে তার মোহময়ী রূপে। বিভিন্ন সুন্দর ও আকর্ষণীয় টব, মাটির বড় বড় গামলায় সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার পছন্দের ছাদবাগান। রঙিন ফুলগুলির গন্ধে আমরা তো বিভোর হয়েই যাই আর সঙ্গে যদি রঙিন কিছু প্রজাপতি উড়ে এসে ঘুরে বেড়ায় আমাদের চারিদিকে তাহলে তো কথাই নেই। বলা যায় ছাদ বাগানে শীতের মরসুমী ফুলকে আহ্বানের সাথে সাথে আমরা আমাদের মনকেও স্নিগ্ধতা দিতে সক্ষম। এই কংক্রিটের শহরে এ যেন এক টুকরো অক্সিজেনের মতই।
Discussion about this post