একবিংশ শতকের আধুনিক লাইফস্টাইলে বাঙালি হয়ে পড়েছে লেট-রাইজিং। অন্ততঃ সকাল ৮ টার আগে অনেকেরই সকাল হয় না। ভরা শরতেও খুব একটা চোখে পড়ে না কাশ শিউলির মেলা। থিম পুজো আর আড়ম্বরের চক্করে হারিয়েছি ফেলে আসা শৈশবের সেই দুর্গা পুজো। কিন্তু আজও একই রকম রয়ে গিয়েছে মহাসপ্তমীর সকাল। কলা-বউ ওরফে নবপত্রিকাকে এদিনের সকালে স্নান করাতে হবে যে, চাট্টিখানি কথা নাকি? এই স্নান করানোর দৃশ্য দেখতে আজও মানুষ হাজির হন গঙ্গা অথবা অন্য কোনও জলাশয়ের ধারে।
কাজেই এই কলা-বউ আদৌ গণেশের স্ত্রী নন। তিনি মা দুর্গারই আরেকটি রূপ যাকে নবপত্রিকাও বলা হয়ে থাকে। তাঁকেই আমরা গণেশের স্ত্রী বলে ভুল করি। ‘নবপত্রিকা’র আক্ষরিক অর্থ বোঝায় নয়টি পাতা। কিন্তু এখানে নয়টি উদ্ভিদ দিয়ে নবপত্রিকা গঠন করা হয়। এগুলি হল- কদলী বা রম্ভা (কলা গাছ), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব(বেল), দাড়িম্ব(দাড়িম), অশোক, মান ও ধান। একটি সপত্র কলাগাছের সাথে অন্য আটটি সপত্র উদ্ভিদ একত্র করে দুটি বেলের সাথে সাদা অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লাল পাড় সাদা শাড়ি পড়িয়ে ঘোমটা দিয়ে বধূর আকার দেওয়া হয়। তারপর তাতে সিঁদুর দিয়ে মা দুর্গার ডান পাশে রাখা হয়।
কভার চিত্র – সুপ্রিয় পাল
Discussion about this post