বিরাটি, দুর্গানগরের দুঃস্থ শ্রমিকদের পাশে তাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন এর আগেই। শহরের পর এবার গ্রামেও সাহায্যের ঝাঁপি নিয়ে হাজির হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ ‘সংকল্প’। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গুড়গুড়িপাল থানার অন্তর্গত কনকাবতী এলাকার শ্রমিকদের সাহায্যে এবার এগিয়েছেন সংকল্পের সদস্যরা।
গত বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলের লোধাসাই, মাতাল ডাঙ্গা গ্রামের ৫০টিরও বেশি দুঃস্থ পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তারা। চাল, ডাল, আলু, তেল, নুন, সোয়াবিন, বিস্কুট, সাবান সহ নানা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে তাদের কাছে পৌঁছে দেয় টিম ‘সংকল্প’। এছাড়াও ওই অঞ্চলের চাপড়ি এবং মন্ডল নামক দুটি ইটভাটার শ্রমিক পরিবারগুলিকেও প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। সংকল্পের সব সদস্য মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে; উপযুক্ত নিয়মাবলী মেনেই এই উদ্যোগটি নিয়েছেন বলেও জানানো হয় তাদের তরফে।
সদস্যদের মধ্যে অন্যতম রাকেশ সর্দারের কথায়, এর আগে বিরাটি-দুর্গানগর অঞ্চলের ১৫০টি পরিবারকে সাহায্য করা হয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবারের কর্মকান্ডটি তাদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কনকাবতী অঞ্চলের মানুষজন এতদিন কোনওরকম সাহায্যের হদিশ পান নি। এমনকি প্রশাসনও তাদের প্রতি কিছুটা উদাসীনই ছিল বলা চলে।সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসেনি কোনও রাজনৈতিক দলও। তাই এই সংকল্পই প্রথম সাহায্য নিয়ে পৌঁছয় তাদের কাছে। তিনি আরও বলেন, সদস্যদের কাছে সংকল্প কোনও সংগঠন বা সংস্থা নয়। বরং একটি ভার্চুয়াল পরিবার। মূলতঃ বন্ধুদের উদ্যোগেই তাঁরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের এক বন্ধু সম্রাটের সাহায্যেই ওখানের মানুষগুলির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন রাকেশ সহ এই পরিবারের অন্যান্য সদস্য পিকলু দাস, রিঙ্কি কুন্ডুরা। লকডাউনের মধ্যে এই অস্থির সময়েও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমেই মনুষ্যত্বের শিক্ষাই দিয়ে গেল টিম ‘সংকল্প’। বুঝিয়ে দিল একটু চেষ্টা করলে মানুষই পারে মানুষের বিপদে এগিয়ে যেতে।
Discussion about this post