২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনা মনে পড়ে? এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। মাঠ থেকে ১৯ বছরের এক দলিত তরুণীকে ‘উচ্চবর্ণে’র চার ব্যক্তি গণধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়। তারপর, প্রমাণ লোপাটের জন্য রাতের অন্ধকারে প্রশাসন তরুণীর দেহ পুড়িয়ে দেয়। আজ আবার ঘটেছে ১৪ বছরের দলিত নাবালিকা কে ধর্ষনের ঘটনা। সেই উত্তরপ্রদেশেই।
দেশের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২ জানুয়ারি, বছর ১৪ এর ওই মেয়েটি দর্জির দোকানে যাচ্ছিল। সেই পথেই তাকে অপহরণ করা হয়। মাদক খাইয়ে অজ্ঞান করে আটকে রাখা হয়। এরপর টানা ২ মাস ধরে গণধর্ষণ চালানো হয়। অ্যাসিড দিয়ে মেয়েটির চামড়া পুড়িয়ে লেখা হয় ”ওম”। জোর করে খাওয়ানো হয় মাংস। জানিয়েছেন ভগতপুর থানার SHO সঞ্জয় কুমার পঞ্চাল।
২ মার্চ প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি ফেরে ওই নাবালিকা। তার পরিবার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে সুরক্ষা আইন (POCSO), এবং SC/ST আইনের অধীনে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে মঙ্গলবার একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। নির্যাতিতার পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ঠিক যেমন ঘটেছিল হাথরসের পরিবারের সঙ্গে।
হাথরসের অভিযুক্তেরা যখন মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছিল, তখন তাদের মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছিল। তাদের পরিবার তাদের প্রতিবেশীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছিল। ঠিক যেমন হয়েছিল বিলকিস বানোর ধর্ষকদের ক্ষেত্রে। এইবার কি হয়, সেটাই দেখার।
Discussion about this post