দীর্ঘ সময়ের লকডাউন কাটিয়ে আনলক পর্বে পড়েছে গোটা দেশ। বাস, মেট্রো সবই ধাপে ধাপে খুলে গিয়েছে। এখন সাধারণ মানুষের একটাই জিজ্ঞাস্য, কবে চালু হবে লোকাল ট্রেন? করোনা আবহে ২৫ মার্চের পর প্রায় দীর্ঘ ৬ মাস থমকে রেলের চাকা। সাধারণ মানুষের যাপনের সঙ্গেই যেন জড়িয়ে এই ভারতীয় রেল। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত রেল যোগাযোগ ভারতকে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে।
ঠিক ১৬৭ বছর আগে ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল, মুম্বই থেকে থানেতে দেশের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের চাকা চলতে শুরু করেছিল। ১৪টি ক্যারেজে চারশো জন অতিথি প্রথম যাত্রার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১২ টি বন্দুকের গান স্যালুট দিয়ে যাত্রার সূচনা হয়েছিল বিকেল সাড়ে তিনটের সময়। এ যেন এক আবেগ, নস্টালজিয়া। কিন্তু এই প্রথম বার ১৬ এপ্রিলেও করোনা আতঙ্কে থমকেই ছিল রেলের চাকা।
এই ভারতীয় রেল পরিষেবা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দীর্ঘ পরিবহন মাধ্যম। এর আগে ভারতীয় রেলকে ঠায় এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে কখনো হয়নি। কিন্তু এই বছর শুরু থেকেই অনেক কিছু দেখিয়ে আসছে। যার অধিকাংশই ভয়াবহ। আর এখন স্টেশনের আশেপাশে পাওয়া যাচ্ছে না রেলের তীব্র হর্ণের শব্দ। সারা শরীরে একগাদা মানুষের ভীড় নিয়ে যেই রেল রোজ চলত, আজ সে থমকে দাঁড়িয়ে একাই। চলুন না, স্মৃতির পাতা উল্টে জেনে নেওয়া যাক ভারতীয় রেল সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য যা হয়ত অনেকেরই অজানা।
নয়াদিল্লি-ভোপাল শতাব্দী ট্রেনটি হল ভারতের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন। এর সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার। বিবেক এক্সপ্রেস যা অসমের ডিব্রুগড় থেকে তামিলনাড়ু কন্যাকুমারী পর্যন্ত চলে, সেটাই ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘতম রুট। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা প্ল্যাটফর্ম হল, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে রেলস্টেশন যা বিশ্বের দীর্ঘতম স্টেশন, এর দৈর্ঘ্য ১৩৬৬ মিটার। আগে এই রেকর্ডটি ছিল পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুর স্টেশন,যার দৈর্ঘ্য ছিল ১০৭২ মিটার। অন্ধ্রপ্রদেশের ভেঙ্কটনরসিংহরাজুবাড়িপেটা স্টেশনটি নামের দিক থেকে সবচেয়ে বড়। এতে মোট ২৯ টি ইংরেজি অক্ষর রয়েছে। পাশাপাশি, ওড়িশার আইবি রেল স্টেশন হল সবচেয়ে ছোট স্টেশনের নাম উড়িষ্যার সবচেয়ে বড় নদীর উপনদী আইভীর নাম থেকেই স্টেশনের নাম উঠে এসেছে।
Discussion about this post