গোটা নিমন্ত্রণ পত্রে কোথাও ‘প্রজাপতি ঋষির আশীর্বাদের’ কথা ছিলনা, ছিলনা ‘শুভ বিবাহ’ শব্দ বন্ধটিও!বরং মেনু কার্ড এবং নিমন্ত্রণ পত্র জুড়ে ছিল কবিতার সমাহার। “রাখী হিউম্যানিস্ট সোসাইটি”র সম্পাদক ডক্টর কল্লোল রঞ্জন সরকারের পরিকল্পনায়, তারই লেখা কবিতায় ভরে উঠেছিল নিমন্ত্রণ পত্র আর মেনু কার্ড। অতিথি আপ্যায়নের অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের একটি করে গাছের চারা উপহার দেওয়া হল। এভাবেই চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী নতুন জীবনের শুরু করলেন অঙ্কিত সরকার এবং ঈশিতা চক্রবর্তী। নদীয়া জেলার প্রথম মরণোত্তর দেহদান ও চক্ষুদান আন্দোলনকারী সংস্থা বাদকুল্লার ‘রাখী’র মুখপত্র হল ‘রাখী পত্রিকা’। এই ‘রাখী পত্রিকা’র সম্পাদক অঙ্কিত সরকার ‘ডেইলি নিউজরিল’কে জানান, তাঁর কাছে বিয়ে মানে শুধুমাত্র কিছু নিয়ম-নীতির পালন নয়। তাঁর কাছে বিয়ের সংজ্ঞা, দুটি সম মনের মানুষের একসঙ্গে পথ চলা শুরু, দুটি পরিবারের মিলন।
কৃষ্ণনগরের ‘গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজি’র অধ্যাপক ঈশিতা চক্রবর্তী বললেন, “বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাবার উপায় নিয়ে আমার এবং অঙ্কিতের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই কথা চলছিল। আমরা দুজন মিলেই বর্তমান প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থার কথা মাথায় রেখে একটি ভাবনা ভাবি। প্রত্যেক অতিথিকে একটি করে গাছের চারা উপহার দেওয়ার কথা মাথায় আসে, যাতে তারা এই গাছটিকে রোপণ করে বাঁচিয়ে রাখেন। এভাবেই আজকের দিনটি তথা আমাদের যৌথ পথ চলা শুরুর দিনটিকেও তিনি মনে রাখেন। এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সাহায্য করেছেন অঙ্কিতের বাবা বিমল সরকার এবং বোন সৃজনী সরকার। তারা দু’জন এবং পরিবারের অন্যরা আমাদের সমর্থন না করলে এই কাজ কখনোই করা সম্ভব হতো না। তাই সকলের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ।” বিশ্ব উষ্ণায়নের পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ অনুপ্রেরণা যোগাবে অনেককেই।
Discussion about this post