মানুষ কিংবা পশু-প্রাণীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠলে তাঁকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। অ্যাম্বুলেন্সে করে মুমূর্ষু রোগী কিংবা পশু-প্রাণীকে যদি চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে, তাহলে মৃতপ্রায় গাছপালা, যাদের প্রাণশক্তির আভাস আমরা প্রতিনিয়ত পাই। তাদের ক্ষেত্রে নিয়মটা যদি একইরকম করা যায়, তাহলে কেমন হয়।
ঠিক এই ভাবনা-চিন্তা থেকেই এদেশে প্রথমবার গাছেদের জন্য নিয়ে আসা হল অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। ঝড়ে হয়তো কোনও গাছ পড়ে গিয়েছে বা হয়তো কোনও গাছ শিকড় থেকে উপড়ে গিয়েছে। এসব গাছ কেটে না ফেলে বরং সেগুলিকে ফের বাঁচিয়ে তোলার ভাবনা থেকেই এই ‘ট্রি অ্যাম্বুলেন্স’-এর সূত্রপাত। এদেশে চেন্নাইয়ে প্রথম শুরু হল এমন অভাবনীয় পরিষেবা। সম্প্রতি উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু উদ্বোধন করেছেন এই ট্রি অ্যাম্বুলেন্সের।
আবদুল ঘানি নামে এক পরিবেশ আন্দোলনকারীর মাথায় প্রথম এই ট্রি অ্যাম্বুলেন্সের কথা আসে। তাঁর কথায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বহু গাছই নষ্ট হয়ে যায়। আবার কংক্রিটের প্রাসাদ তুলতে গিয়ে বহু গাছই বিনা বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই অনুপাতে নতুন গাছ খুব কম পরিমাণেই লাগেনো হচ্ছে। আর ঠিক সেই কারণেই তাঁর দাবি, নতুন গাছ লাগানোর পাশাপাশি যেসব গাছগুলিকে চিকিৎসার দ্বারা সারিয়ে তোলার জন্য একান্ত প্রয়োজন এই ট্রি অ্যাম্বুলেন্সের। পাশাপাশি এই ট্রি অ্যাম্বুলেন্সে চারা গাছ এবং বীজ বয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বিভিন্ন জায়গায়। তাছাড়া যে মাটিতে গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হচ্ছে সেখান থেকে গাছটিকে সরিয়ে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হবে অন্য জায়গায়। থাকবেন মালি এবং বিশেষজ্ঞরাও। গাছের প্রয়োজনায়তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য এমন অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদরাও।
Discussion about this post