আগের বছরেই পৃথিবী দেখেছিল প্রথম রূপান্তরকামী মহিলা খেলোয়াড়কে। বাইশ গজে তাঁর আগমনে রঙধনু রং ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে। তাঁর মতই আরও অনেক মানুষ নতুন উৎসাহে, নতুন উন্মাদনায় শুরু করেছিলেন নিজেদের জীবনযুদ্ধ। সেই মহিলার নাম ছিল ড্যানিয়েল ম্যাকঘেয়ে। প্রথম রূপান্তরকামী ক্রিকেটার হিসাবে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ক্রিকেট বোর্ড রুপান্তরকামীদের নিষিদ্ধ করতেই তিনি অবসর নিয়েছিলেন, অবশ্য জানিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর লড়াই চলবে। আবার তেমনই এক ঘটনার মুখোমুখি আজ মার্কিন সাঁতারু।
২০২২ সালে এনসিএএ চ্যাম্পিয়নশিপে বিজেতা প্রথম রুপান্তরকামী মহিলা সাঁতারু হিসেবে ইতিহাস রচনা করেছিলেন আমেরিকান সাঁতারু লিয়া থমাস। ওই বছরেই ওয়ার্ল্ড অ্যাকোয়াটিক্স প্রতিষ্ঠিত নিয়ম অনুযায়ী সেইসব রুপান্তরকামী মহিলাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে যাঁরা পুরুষ হিসেবে বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করেছেন। বদলে তৈরি হয়েছে একটি ‘ওপেন’ বিভাগ, যেখানে খেলতে পারবেন ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদরা। এই নিয়মকে অপমানজনক ও বৈষম্যমূলক বলে আইনের দ্বারস্থ হন লিয়া। কিন্তু সম্প্রতি আইনি লড়াইয়ে তিনি হেরে গেছেন।
সাঁতারের মতই ক্রিকেট,সাইক্লিং, এবং অ্যাথলেটিক্সেও রূপান্তরকামী ক্রীড়াবিদদের উপরে এই নিষেধাজ্ঞা চালু রয়েছে। আইসিসিও বলেছে, কোনও পুরুষ যদি বয়ঃসন্ধিকালে উপনীত হওয়ার পর লিঙ্গ পরিবর্তন করে থাকেন, তাহলে তিনি মহিলা ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না। অথচ লিয়া থমাস বা ড্যানিয়েলের মত সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদরা বলেন শরীরের বৈষম্য আসলে কোন বৈষম্যই নয়। তবে ২০২৪ এর প্যারিস অলিম্পিকে যে ইতিহাস তৈরি হতে পারত, তা আর হবে না। কারণ, লিয়া থমাস সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
Discussion about this post