‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’-এ কথা আমাদের কারোরই অজানা নয়। তবে আমরা বোধহয় মানুষ বাদে অন্য প্রাণীদের জীব হিসেবে গণ্য করতে ভুলে যাই। আর সে যদি হয় রাস্তার কুকুর? তারা তো দূর ছাই করার পাত্র! শৌখিনতা পেরিয়ে তাদের কথা ভাবতে যায় ক’জন?
এই নিরীহ অবহেলিত কুকুরদের পাশে দাঁড়াতে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন দমদমের বেধিয়াপাড়ার তরুণী দুষ্টু মিত্র। পশুপ্রেম চিরকালের সঙ্গী। বর্তমানে বিভিন্ন উদ্যোগে সামিল হলেও তাঁর কাজের সূত্রপাত ২০১৬ তে। তখন সে সবে ক্লাস টুয়েলভ। জীবনে সন্তানসম পোষ্য কুকুর পাপার মৃত্যুর পর বাকিদের জন্য কিছু করার খেয়াল চাপে তাঁর মাথায়। যেমনি ভাবা তেমনি কাজ। তাই পাপার জন্মদিন উপলক্ষ্যেই শুরু হয় কাজ। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে পকেট খরচ জমিয়ে দুষ্টু মিত্র খাবার তুলে দেন রাস্তার অবহেলিত প্রাণীগুলোর মুখে।
তবে বর্তমানে শুধু অভুক্তদের মুখে খাবার তুলে দেওয়াই নয়, তাদের টীকাকরণের দায়িত্বও কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। তাদের দেওয়া হয় অ্যান্টি রেবিস ভাইরাস ভ্যাকসিন। টিকা দেওয়ার পর তাদের গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় রিফ্লেক্টিং কলার। এই কলারের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায় ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন প্রাপ্ত কুকুরদের। আর টিকাকরণের পর তাদের দেওয়া হয় একটা করে ডিম এবং বিস্কুট। সচেতনতার সঙ্গী হয়ে মানবিকতা সকলের মনে পৌঁছে দেওয়ার এ এক অন্যরকম পন্থা।
কলকাতাবাসীদের কেউ যদি চান বিনামূল্যে তাদের অঞ্চলের কুকুরদের ভ্যাকসিন দিতে, তবে আপনাদের পাশে দাঁড়াবেন দুষ্টু মিত্র। বার্তালাপে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি স্বয়ং। তিনি এও বলেছেন, সম্ভব হলে হোলসেল মূল্যে এ.আর.ভি ভ্যাকসিন তিনি পৌঁছে দিতে পারেন আপনাদের কাছে। তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই হতে হবে কলকাতার বাসিন্দা।
Discussion about this post