স্বাধীনতা দিবসের উচ্ছ্বাস উৎসব বটে! তবে এই স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য যাদের লড়াই তাঁরাই হয়তো ঢাকা পড়ে যান স্বাধীনতার নিচে। ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের এক নক্ষত্র ঋষি অরবিন্দ। যার দ্যুতি এখনও বর্তমান। ১৫ আগষ্ট তাঁর জন্মদিবসও বটে। কেমন ছিল তার জীবন? বরং বলা চলে তার কারাবাসের জীবন সে কথাই তিনি স্বয়ং বলেছিলেন।
আজ থেকে প্রায় ১১৫ বছর আগের কথা। হুগলির উত্তরপাড়ায় বক্তৃতা রাখেন তিনি। জানিয়ে যান, নিজের জীবনের কথা। সেই থেকে তার এই বক্তব্যের দিনটি ‘স্পিচ ডে’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তৎকালীন সময়ে একটি বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় গ্রেফতার হন তিনি। চলছিল শুনানির মামলা। কিছু বছর জেলে থাকলেও পরবর্তীতে প্রমাণের অভাবে মুক্তি মেলে তাঁর।
বিপ্লব চেতনার পাশাপাশি তার আধ্যাত্মিক জগতের জ্ঞানের কারণে তিনি বেশি উল্লেখযোগ্য। জেলের সেই বন্দি দশাতেই তিনি অতীন্দ্রিয় এবং আধ্যাত্মিক কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। সেই থেকেই তার আধ্যাত্মিকতার শুরু। যোগ সাধনার সূত্রপাত তার জীবনে বেশ পরিবর্তন আনে বলেই জানা যায়। এরপর জেল থেকে তিনি মুক্ত পেলে দেশবাসীর কাছে তার সেই যোগ সাধনার কথা তুলে ধরেন। তাঁর জীবনদর্শন দিয়ে অনুপ্রাণিত হন হাজারও দেশবাসী। বিশেষ করে যুব সমাজ যেন হাতে পায় এক অন্যরকম শক্তির উৎস। ১১৫ বছর আগের এ ঘটনা ঘটে উত্তরপাড়ার জয় কৃষ্ণ লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি তোড়ণ উদ্বোধন করা হয় সেখানে। তাঁর এই জ্বলন্ত স্মৃতি যেমন গর্বের তেমনই বর্তমান সমাজের শক্তি সঞ্চারকও বলা যেতে পারে।
Discussion about this post