চেন্নাই শহরে ঘুরবেন, দেখবেন, সবই তো করবেন! আর খাবার? শুধু ওই ইডলি, ধোসা, আর চিকেন চেট্টিনাড? এই খেয়ে কি আর বাঙালির রসনা তৃপ্তি হয়? ভোজনরসিক বাঙালি বেড়াতে গিয়ে এত অল্পে কি খুশি হবে? হয়তো সবাই দামোদর শেঠ নয়, তবুও বেড়াতে গিয়ে মাছ বা খাসির মাংস চাই। ঘুরতে ঘুরতে হাতে নিদেন পক্ষে দুটো চপ আর বিরিয়ানির থালার সামনে না বসলে খাওয়া আর ঘোরা দুটোই মাটি। তা হলে চলুন, দেখেই ফেলি কী কী খাবার আপনার রসনার বাসনা পূরণের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে এই শহরে।
আজ্ঞে হ্যাঁ, ধোসা তো আছেই। প্লেন, পেপার, ওনিয়ন, মশালা, রাভা, ডিমের মধ্যে নতুনত্বের ছোঁয়া পাবেন। ইডলিতে দয়া করে কোনও নতুনত্ব খুঁজতে যাবেন না। তবে একবার অবশ্যই চাটনি সহযোগে তা চেখে দেখতে হবে।চিকেন চেট্টিনাড! হ্যাঁ, আগেও বলেছি, আবারও বলছি, খেয়ে দেখতেই হবে। এটা না খেলে চেন্নাই ভ্রমণই অসম্পূর্ণ। মালাবার পরোটা হয়তো চেন্নাই তথা তামিলনাড়ুর নিজস্ব খাবার নয়। তবে খোদ চেন্নাই শহরে লাচ্ছা পরোটার এই ছোট ভাই কেরালার থেকেও বেশী জনপ্রিয়। মোচার বড়া, ঠিকই পড়েছেন। তবে এটা বড়া, চপ নয়। এ রাজ্যেও কলা গাছের সব অংশই খুব জনপ্রিয়। মোচার বড়া চপের মতো চলতেই পারে। সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে ঘুরতে বাঙালির চপের প্রকৃত পরিপূরক হল ভাজি।
আপনি বিরিয়ানি প্রেমী? তাহলে সাবধান করে দিচ্ছি! কারণ রেস্তোরাঁর মেনু কার্ড দেখে আপনি দোলাচলে ভুগবেনই, আম্বুর না তালপাকাট্টি? যদি আমার কথা শোনেন, তাহলে আজ আম্বুর বিরিয়ানি খেয়ে কালকের নৈশ ভোজের জন্য তুলে রাখুন তালপাকাট্টি বিরিয়ানি। কারণ কোনোটাই ছাড়া যাবে না। ফিল্টার কফি, স্টিলের বাটির ওপর একটা স্টিলের গ্লাস। আর সেই গ্লাস ভর্তি গরম পানীয় কফিপ্রেমীদের কাছে স্বর্গ। কফিপ্রেমী না হলেও একবার খেয়ে দেখুন, একটু প্রেম প্রেম পাবেই। পায়েসম্, হ্যাঁ হ্যাঁ ওই পায়েসই। বেশ খানিকটা পাতলা আর বহু ধরণের হয়। তবে জেসমিন পায়েসম্ না খেলে খুবই দুঃখ পাবেন। তাহলে আর কি? বেড়িয়ে পড়ুন, মুখে হাসি, পেটে ক্ষিধে, হাতে ফোন আর ফোনে ম্যাপ নিয়ে! রসনাতৃপ্তি আজ হবেই হবে।
Discussion about this post