সদ্য পেরনো বিশ্ব পরিবেশ দিবসের রেশ এখনও কাটেনি। সারা বাংলা জুড়ে বৃক্ষরোপণের উপকারিতা আর পরিবেশ দূষণের ভয়াবহ ফলাফল নিয়ে আলোচনা চলছে। দিনের পর দিন গাছ কেটে ইট-কাঠ-সুড়কির জঙ্গল বানানোর ফলে শহরের পরিবেশের বদল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন শহরবাসী। এর মধ্যেই হুগলী জেলার শ্রীরামপুরের বুকে প্রায় শতাব্দী প্রাচীন একটি বট গাছকে কেটে শীতলা মন্দির বানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিছু মানুষ। শুরু হয়ে গেছে শিকড় কাটার কাজ। কিছু সচেতন বাসিন্দা এর প্রতিবাদ করতে গেলে হয়েছে বাগবিতণ্ডা।
শ্রীরামপুরের বহুদিনের বাসিন্দা নাট্যকর্মী বিভাস গুপ্ত বিষয়টি প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনসমক্ষে আনেন। তাঁরা রাজনৈতিক দল, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের কাছে আবেদন জানান এই গাছ কাটার প্রতিবাদে সামিল হতে। এদিন সন্ধ্যা বেলায় প্রাচীন গাছটির পাশে জমায়েত হন একশ জনের বেশি মানুষ। তাঁদের সবার উদ্দেশ্য ছিল গাছটিকে বাঁচানো। বিভাস বাবু বলছেন, “আমার জানা নেই, পৃথিবীতে কোন মন্দির-মসজিদ-চার্চ অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে!”
জমায়েত হওয়া মানুষগুলি তাঁদের বার্তা পৌঁছনোর জন্য একত্র হয়ে পোস্টারিং করেছেন, গান গেয়েছেন এবং একটি প্রতিবাদপত্রে সই করেছেন। গণস্বাক্ষর করা এই প্রতিবাদপত্র যাবে প্রশাসন, স্থানীয় কাউন্সিলর, মহকুমা শাসক, ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসারের কাছে। এরই মধ্যে মন্দির তৈরির উদ্যোক্তারা এসে জোর কন্ঠে জানিয়ে গেছেন মন্দির তাঁরা বানিয়েই ছাড়বেন। আর শিক্ষক তন্ময় ভট্টাচার্য বা বিভাস গুপ্তের মত আরও শ’খানেক মানুষ অঙ্গীকার করেছেন গাছটির মৃত্যু হতে দেবেন না।
Discussion about this post