ভারতের সমস্ত কালীক্ষেত্রগুলির মধ্যে যে মন্দিরটি ছাড়া ভাবাই যায় না সেটি হল দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির। মা ভবতারিণীর এই মন্দিরের খ্যাতি তো বিশ্বজোড়া! দেশের পর্যটকরা তো বটেই, বিদেশ থেকেও পর্যটকরা এলে অন্তত একবার মা ভবতারিণীর দর্শনের অপেক্ষায় থাকেন। তাই রাণী রাসমণি দেবীর প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা এই মন্দিরের কথা আমাদের সকলেরই জানা। যাওয়াও হয়েছে বহুবার। তবে অনেকেই জানেন না দ্বিতীয় দক্ষিণেশ্বর মন্দির এবং সেখানকার অবিকল মা ভবতারিণীর রূপের কথা। কলকাতা থেকে অদূরেই অবস্থিত রয়েছে এমনই একটি মন্দির। একবেলার ছুটিতেই ঘুরে আসা যায় সেখান থেকে। চলুন,যাওয়ার আগে জেনে নেওয়া যাক মন্দির সম্পর্কে দু-একটি তথ্য।
সালটা ১৮৭৫ অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠার ঠিক ২০ বছর পর। রানির ছোটো মেয়ে জগদম্বা দেবী তার স্বামীর অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করার জন্য চাণকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অন্নপূর্ণা মন্দির। এই চাণক-ই আসলে আজকের ব্যারাকপুর। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর-টিটাগড় অঞ্চলে অবস্থিত এই মন্দিরটি। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে তৈরি হওয়ায় অনেকেই এই মন্দিরটিকে দ্বিতীয় দক্ষিণেশ্বর মন্দির নামেই চেনেন। মন্দিরটিকে ঘিরে রয়েছে এক সুন্দর আবহ, গ্রাম বাংলার রাস্তা এবং ঢাক, কাঁসর-ঘণ্টার শব্দ, তাই এমন একটি জায়গায় না গিয়ে থাকার উপায় নেই।
এই মন্দিরটি মূল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের থেকে আয়তনে খানিকটা ছোটো। মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে কল্যাণেশ্বর, কাম্বেশ্বর, কিন্নরেশ্বর, কেদারেশ্বর, কৈলাসেশ্বর ও কপিলেশ্বর নামের ছ’টি শিব মন্দির। প্রতিদিন দুপুরে অন্নপূর্ণা মায়ের অন্নভোগ দেবার পরে পাওয়া যায় প্রসাদও। তবে তার জন্য আগে থেকে কুপন কাটতে হয়। তাই দেরি না করে পরিবারের সকলকে নিয়ে একবেলা ঘুরে আসুন মন্দির থেকে। কীভাবে যাবেন? শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে চেপে নেমে পড়ুন ব্যারাকপুর স্টেশনে। স্টেশনের বাইরেই রয়েছে টোটো। টোটো করেই পৌঁছে যাবেন একেবারে মন্দিরের সামনে।
চিত্র ঋণ – মোনালিসা নন্দী
Discussion about this post