বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রান্তে আজও লৌকিক পুজো অব্যাহত রয়েছে। অঞ্চলভেদে এদের যেমন বিচিত্র নাম তেমনই বিচিত্র এদের পুজো-পদ্ধতি। তেমনই এক লৌকিক পুজোর কথা যদি বলা হয় তবে ইছাপুরের বারুজীবি অর্থাৎ পান চাষীদের আয়োজনে শমী চণ্ডীর পুজো উল্লেখযোগ্য। শমীপোকার আক্রমণ থেকে পানচাষ বাঁচাতে শুরু হয় এই পুজো।
ক সাধু সাতঘরায় আশ্রম গড়ার পরে প্রথমে হোগলা পাতার ছাউনি গড়ে নবনারীকুঞ্জের পুজো শুরু হয় পরে অবশ্য স্থায়ী কাঠামো নির্মিত হয়। নয়জন গোপীনি পরস্পর মিলিতভাবে একটা হাতির আকার নিয়ে তার উপরে অধিষ্ঠিত করেছে রাধাকৃষ্ণকে। পরে কিছু মানুষ সাতঘরার আদি নবনারী পুজো কমিটি থেকে বেরিয়ে বাকসাড়ায় নতুন নবনারীকুঞ্জের পুজো শুরু করেন। দুটি নবনারী-একটির উপরে অধিষ্ঠান করছেন মহাদেব, অন্যটিতে গরুড়।
নতুন নবনারীর উপরে দুপাশে জগদ্ধাত্রী ও মাঝখানে মহাদেবের নিচে হনুমান। আর পুরোনো নবনারীর এক্কেবারে উপরে গরুড়ের অবস্থান, তার ঠিক নিচে একটি সরস্বতী মূর্তি। সঙ্গে আলাদা মন্দিরে আছেন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা, যমরাজ ও সাবিত্রী সত্যবান এবং নারায়ণ। ইছাপুরের শমী চণ্ডীর দুপাশে মহাদেব ও ইন্দ্র। এছাড়াও আছেন এক্কেবারে উপরে গণেশ , দুপাশে লক্ষ্মী, জগদ্ধাত্রী, ব্রম্ভা, বিষ্ণু, নন্দী-ভৃঙ্গী এবং আলাদা মন্দিরে যমরাজ ও সাবিত্রী সত্যবান। ঐতিহ্য বজায় রেখে এই পুজো আজও চলছে। এতগুলো বছরে ও আঞ্চলিক মানুষের কাছে এই পুজোর মাহাত্ম্য কমেনি।
Discussion about this post