২৪ পরগনার কুলপি থানার নদীর তীরবর্তী এলাকা নবদ্বীপ চর। যেখানে পিকনিক করতে আসা মানুষ তাদের পিকনিকের সরঞ্জাম নিয়ে আসা ব্যাগ, প্লাস্টিকের গ্লাস, থার্মোকলের প্লেট, প্লাস্টিকের বোতল, বিয়ারের ক্যান, নদীর চরে বর্জ্যগুলি ফেলে চলে যান। পরে যেগুলি নদীতে জোয়ারের জলে ভেসে জলজ প্রাণীদের সুস্থ পরিবেশের প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি করে। নষ্ট হয় পরিবেশের ভারসাম্য। শীতের পরিযায়ী পিকনিক পার্টিদের উদ্দেশ্যে পরিবেশ সুস্থ রাখার বার্তা দিতে বন্ধুদের নিয়ে জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্যে হুগলি নদীর তীরে কেক কেটে সাফাই অভিযান শুরু করেন সুন্দরবন জেলার পরিচিত পরিবেশ সৈনিক রায়দীঘি থানার কাশীনগরের শুভ্রদীপ বৈদ্য।
তিনি উদ্যোগে নিয়ে ওই দিন বেশ কয়েকজন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন পরিবেশ সচেতন মানুষজনকে আমন্ত্রণ জানান। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক নীলরতন মন্ডল। হাজির ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী আবু হিয়া। রক্তদান আন্দোলনের কর্মী সফিউদ্দিন মিদ্দে (লাল্টু) ও সুকান্ত সরদার, বিশিষ্ট সাংবাদিকগণ ও বেশ কিছু পরিবেশপ্রেমী মানুষ।
শীতকালে বিশেষ করে এই ঠান্ডার সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ঐতিহাসিক শহর ডায়মন্ড হারবারে ছুটির দিনে হুগলি নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলিতে চড়ুইভাতির উদ্দেশ্যে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। এর সাথে সমান তালে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে পরিবেশ দূষণ। পিকনিক করার পর পর্যটকদের ফেলে দেওয়া কুরকুরে, চিপসের প্যাকেট ,থার্মোকলের থালা, প্লাস্টিকের গ্লাস ও জলের বোতল বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করে। নদীর কণ্ঠ রোধ হয় এবং জলজ প্রাণী বিপন্ন হয়ে পড়ে। এই বিপর্যয় রুখতেই এরকম অভিনব জন্মদিন পালন।
Discussion about this post