সিমেন্ট, বালি, খোয়া অর্থাৎ পাথরের টুকরো, পাথরের টুকরো জলের সঙ্গে মিশিয়ে যে মিশ্রণ তৈরি করা হয়, তাকে ঢেলে চাপ দিয়ে নির্দিষ্ট আকার দেয়া হয়। যা শুকানোর পর কংক্রিট তৈরি হয়। এক ডাচ সংস্থা নতুন ধারণা নিয়ে আসে যার নাম ‘বায়োরিসেপটিভ কংক্রিট’। যার মূল বিশেষত্ব যায় ওপর সহজেই গড়ে উঠবে শ্যাওলা। যা সহজে বাড়ি ঠান্ডা করে এবং ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
তবে এই নিয়ে যে মানুষের মনে প্রশ্ন ওঠেনি এমনটা না। যেমন শ্যাওলা উঠলে বাড়ির অবস্থা কী হবে? শ্যাওলা বাড়িতে উঠলে বাড়ি স্যাঁতস্যাতে হয়ে যাবে কিনা? আবার স্যাঁতস্যাতে হয়ে গেলে বাড়ির ভিত নড়বড়ে হবে কিনা! ‘রেস্পায়ার’ তাদের প্রজেক্টের জন্য বেছে নিয়েছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য কংক্রিট। তবে জানা গেছে এই বায়োরিসেপ্টিভ কংক্রিট শহুরে জলবায়ু উন্নত করতে এবং বাড়ির লোকেদের সুস্থতা বাড়াতে সাহায্য করে।
‘রেস্পায়ারে’র প্রধান অক ব্লেইজের মতে, শিকড় না-ছড়ানোর জন্য, শ্যাওলা বাড়ির ক্ষতিও করে না। বরং একরকম মজবুত হয়ে ওঠে বাড়ির ভিত। তবে তিনি এও জানিয়েছেন শ্যাওলার কোনো শেকড় নেই। তা আটকে থাকে রাইজয়েডের সাহায্যে। এর জন্য ১০ এর নিচে পিএইচ লেভেল সহ কংক্রিট তৈরি করার প্রয়োজন নেই। এই বায়োরিসেপ্টিভ কংক্রিট ব্যয়বহুলও বটে। যদিও প্রাকৃতিক অবস্থার অধীনে আরও গবেষণা চলছে। একটি সস্তা বায়োরিসেপ্টিভ কংক্রিট তৈরি করার কথাও ভাবছে এই সংস্থা। ব্লেইজ বলছেন যে, “এই কংক্রিট গ্রাফিটি প্রুফ।’ যার ফলে দেওয়ালে আঁকা কঠিন। আমস্টারডামের রিভিরেনবুর্ট অঞ্চলে বেশ কিছু কংক্রিটের বারান্দা ভরে গিয়েছে শ্যাওলায়। অনুমান করা হচ্ছে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যার ৬৮% এরও বেশি শহরাঞ্চলে বসবাস করবে, যা বিশ্বব্যাপী শহুরে জনসংখ্যার ২.৫ বিলিয়ন জনসংখ্যার বৃদ্ধি গঠন করবে।”
Discussion about this post