‘গলদা চিংড়ি তিংড়ি বিংড়ি লম্বা দাঁড়ার করতাল’ এই লম্বা লম্বা হাত পা নিয়ে গলদা চিংড়ি, চিংড়ি প্রজাতির রাজা। যার নাম শুনলে আর থেকে আট থেকে আশি সবার জিভেই জল আসতে বাধ্য। এই গলদা চিংড়ির আরও একটা পোশাকি নাম হল লবস্টার। লাল রঙের এই লবস্টার মূলতঃ সবারই চেনা। কিন্তু জানেন কি নীল রঙের লবস্টারও রয়েছে এই বিশ্বে। এই বিরল প্রজাতির লবস্টার দুইশো মিলিয়নের মধ্যে মাত্র একটিই দেখতে পাওয়া যায়। প্রধানতঃ জিনগত গোলযোগের কারণেই লবস্টারের গায়ের রঙ নীল হয়।
সম্প্রতি ম্যাসকটের ‘রেড লবস্টার’ নামক এক রেস্টুরেন্টে দেখা মিলল এই নীল রঙা গলদা চিংড়ির। রেস্টুরেন্টের লবস্টার সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা এক কর্মচারী লাল লবস্টার সংগ্রহ করতে গিয়ে এই বিরল প্রজাতির নীল লবস্টার পান। দেখা মাত্রই সেই কর্মচারীর বুঝতে এতটুকু দেরী হয়নি যে এটি আসলে একটি বিরল প্রজাতির লবস্টার। তাই কোনরকম দেরি না করে এই খবরটি রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ ‘মনটেরি বে অ্যাকুয়ারিয়াম’ নামক ম্যাসকটের এক অ্যাকুরিয়াম সংস্থাকে খবর দেয়। আর তারা সেই খবর পৌঁছে দেয় ‘আকরন জু’ নামক ক্যালিফোর্নিয়ার এক চিড়িয়াখানায়। এই বিরল প্রজাতির গলদা চিংড়ির সন্ধান পেয়ে তাকে অতিথি আপ্যায়ন করতে লেগে পড়ে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। তারা এই নীল রঙা গলদা চিংড়িটির নামকরণও করে। তার নাম দেওয়া হয় ‘ক্লাউড’।
বর্তমানে ‘আকরন জু’ ও ‘রেড লবস্টার’ এর মিলিত তত্ত্বাবধানে রয়েছে ‘ক্লাউড’। এমনকি একটি বিশেষ ট্যাঙ্কে তাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্লাউডস ম্যান ক্যাভ’। যত্ন-আত্তিতে এখন বেশ ভালই এখন দিন কাটছে নীল গলদা চিংড়ি ‘ক্লাউড’এর। যতই হোক দুইশো মিলিয়নের মধ্যে একমাত্র বলে কথা।
তথ্য ঋণ – বিজন ব্যানার্জী
Discussion about this post