নয়া কৃষিবিলে অসন্তুষ্ট ভারতীয় কৃষিসমাজ, চলেছে নানা লড়াই। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি দিল্লীর রাজপথে চলেছে ট্র্যাক্টর মিছিল। প্রশাসনের সঙ্গে কৃষকদের একাধিক সংঘর্ষের সাক্ষী থেকেছে দিল্লির রাজপথ। এই ঘটনা কমবেশি সবারই জানা। কিন্তু এই বিষয়কে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে তুলেই অদ্ভুত বিতর্কে জড়াল চেন্নাইয়ের এক স্কুল।
গত ১১ ফেব্রুয়ারী চেন্নাইয়ের গোপালাপুরমের এক নামী স্কুলের দশম শ্রেণীর ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের দ্বিতীয় সংশোধনী পরীক্ষা ছিল। আর সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাধারণতন্ত্র দিবসে হিংসাত্মক ও ভয়ঙ্কর কর্মকান্ডের নিন্দা জানিয়ে সম্পাদকীয় চিঠি লিখতে বলা হয়। এমনকি প্রশ্নে এও জানানো রয়েছে দুষ্কৃতীদের বাহ্যিক উস্কানিতে এক ব্যর্থ প্রচেষ্টা। এই ভয়ঙ্কর তান্ডব রুখতে কী কী করণীয় তাও জানতে চাওয়া হয় এই প্রশ্নটিতে।
অন্য স্কুলের শিক্ষক এম.ইউভানের মতে, ছাত্রদের নিজস্ব মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রই হল শিক্ষা। তাঁর মতে ছাত্রছাত্রীদের নিজের চিন্তাধারা প্রকাশের সুযোগ না দেওয়াটা আদর্শ শিক্ষা নয়। আবার অনেকে এই সংবেদনশীল ঘটনাটি কিভাবে প্রশ্নপত্রের স্থান পেতে পারে ভেবে পাচ্ছেন না। স্কুল কর্তৃপক্ষের কান্ডজ্ঞানহীনের মতো কাজ হয়েছে বলে মনে করেন সঙ্গীতশিক্ষক টি এম কৃষ্ণা। নিরপেক্ষতাকে এড়িয়ে কীভাবে একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ একপেশে মতামত দিতে পারে এনিয়ে চরম ধিক্কার দিচ্ছে নেটিজেনরা।
Discussion about this post