জি আই ট্যাগের অপেক্ষায় দিন গুনছে বাঁকুড়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম পুখুরিয়ার মানুষ।জেলার সিমলাপাল মহকুমা থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে যার অবস্থান। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রায় ১৫০০ লোকের বাস এখানে। এর মধ্যে কর্মকার শ্রেণীই সমগ্র গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির প্রধান অর্থনৈতিক উৎস।
কোনোরকম ছাঁচ ছাড়া সম্পূর্নভাবে হাত দিয়ে, হাতুড়ি পিটিয়ে তৈরী বিশেষ ধরনের কাঁসার বাটি এই গ্রামের কারিগরদের এক অনবদ্য সৃষ্টি।বংশ পরম্পরায় চলে আসা এই ব্যাবসা প্রায় ২৫০ বছরেরও পুরনো।এক একটি বাটি তৈরীতে প্রায় ৪-৫ জন কারিগর তার শ্রম দেন।পরিবর্তে এক কেজি ওজনের বাটি তৈরীতে মজুরি পান ৩০০-৪০০ টাকা।স্থানীয় বাজারে এই বাটির চাহিদা বিশেষ না থাকলেও বিদেশের মাটিতে সাউন্ড থেরাপীর জন্য এর চাহিদা আছে তুঙ্গে।সাউন্ড থেরাপীতে এই বাটির মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া শব্দ তরঙ্গকে কাজে লাগিয়ে মানসিক উদ্বেগ সহ বহু জটিল রোগ নিরাময় হয়ে থাকে।
এক কেজি ওজনের এই সিঙ্গিং বাউলের আন্তর্জাতিক মূল্য প্রায় ১২০০-১৫০০ টাকা।তবে ওজন ও বাটির বিশেষত্বের ওপর এর মূল্যও নির্ভর করে।নেপালি ও তিব্বতীয় মধ্যে এই সিঙ্গিং বাউলের ব্যবহার অত্যাধিক থাকলেও এখন ভারতীয় সাউন্ড থেরাপী সেন্টারগুলিতেও এর কদর বাড়ছে। তাই জি আই তকমার আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন পুখুরিয়ার কর্মকার’রা।
Discussion about this post