ছবি প্রতীকী
ছাতিম ফুলের গন্ধে পুজোর মেজাজ যেন তুঙ্গে। আর প্রতিবারের মতো এবারও ব্যতিক্রম নয় মালদার কংসবণিক দুর্গাবাড়ির পুজো। সব ঐতিহ্য এবং প্রথা মেনে আয়োজন শুরু করে দিয়েছে এই পরিবার। শোনা যায়, আজ থেকে ৩৫২ বছর আগে একটি পাথর ভেসে আসে মালদার নিমতলি ঘাটে। আর সেই এলাকার এক বৃদ্ধা ওই পাথর দেবীরূপে স্থাপন করে পুজো করার স্বপ্নাদেশ পান। তারপর থেকেই ওই পাথরকে দেবী চন্ডীরূপে পুজো করা শুরু হয়। এই পুজোর ভার পরবর্তীকালে হাতে তুলে নেন জমিদার গিরিজানন্দন দাস। তখন পুজো হত নেতাজী সুভাষ রোডে, তাঁর বাড়িতেই। তিনি মৃত্যুর আগে (বাংলা ১২৭৫ সাল) এই পুজোর দ্বায়িত্ব দিয়ে যান আদি কংসবণিক পরিবারের হাতে। তারপর থেকেই নিয়ম মেনে হয়ে আসছে এই পুজো।
মালদার দুর্গাবাড়ি মোড়ে কংসবণিক পরিবারের বনেদি বাড়ি। যেখানে ১৫৪ বছর পুরনো দুর্গা মন্দির রয়েছে। আর এই মন্দিরের পুজো দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন বহু মানুষ। কারণ ৩৫২ বছর পুরনো পুজোর ইতিহাসের ছাপ এখনও পাওয়া যায় এখানে গেলে। মায়ের সাজসজ্জা, পুজোর আয়োজন কোনওকিছুই বদলায়নি আজও। মায়া ভরা মুখ দেখলে যেন চোখ জুড়িয়ে আসে। মায়ের গায়ের রং হলুদ। বিশালাকার ত্রিনয়নী মায়ের যেন হাসিমুখ সর্বদা। সঙ্গে থাকে শিবলিঙ্গের ছবি আর শিবের মূর্তি।
থেমে থাকবে না কোনওকিছুই। এ বছর মহামারী দূর হওয়ার মানত করবেন পরিবারের সদস্যরা পদ্মফুল ও ভোগ নিবেদন করে। তাই চলছে পুজোর ধুন্ধুমার আয়োজন। মা সাজবে নতুন বছরে, নতুন ফুলের গন্ধে।
Discussion about this post