কথায় বলে অলস বাঙালি। তবে বাঙালির সব অলসতা কেটে যায় খাবার পাতে। আর তা যদি হয় মিষ্টি, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। বরং আহার জমে ওঠে বেশ। আর শীতের মরসুমে নতুন গুড় যেন স্বর্গীয় স্বাদ। এই স্বাদ নিয়ে রীতিমত গবেষণা চলে হেঁশেলে। আর সেখান থেকেই পিঠে পুলিকে ছাড়িয়ে গুড় এবার কেক-পেস্ট্রির সঙ্গী। এ যেন প্রাচ্য পাশ্চাত্যের এক অনবদ্য মিশেল। ইতিহাস বলছে কেক ব্রিটিশদের হাত ধরে বাঙালির পেটের পথ খুঁজে পেয়েছে। অন্যদিকে শীতকালে নলেন গুড় বাঙালির আগাগোড়া রসের খোঁজ। ঠিক ডিসেম্বরে-বড়দিনে কেক পেস্ট্রির সাড়া পড়ে যায় রমরমিয়ে। আর এবারের নতুন সংযোজন নলেন গুড়ের পেস্ট্রি। এ পেস্ট্রি দেখতে সাদা রঙের। তার ওপরে সোনালী গুড়ের রেখা। দেখেই জিভে জল আসতে বাধ্য।
এই অভিনব মিষ্টি স্বাদের খাবারটির আবিষ্কর্তা ধরে নেওয়া হয় বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিককে। তবে শুধু এই কেক বা পেস্ট্রিই নয় এছাড়াও রয়েছে নলেন গুড়ের সুফলে এবং ডেজার্ট। আর রইলো পিঠে পুলির কথা? সে প্রসঙ্গে বলাই বাহুল্য। তবে মল্লিকদ্বয়ের মিষ্টির তালিকায় রয়েছে আরও কিছু। যেমন চন্দ্রপুলি, শঙ্খ সন্দেশ, নলেন গুড়ের বেকড রসগোল্লা। আবার খাঁটি বাঙালিয়ানা নিয়ে হাজির রয়েছে নলেন গুড়ের জলভরা।
এই নলেন গুড় শীতের মধ্যে সংগ্রহ করেন শিউলিরা। গ্রাম গঞ্জে খেজুর গাছে হাঁড়ি বেঁধে চলে রস সংগ্রহ। তারপর তা জ্বালিয়ে হয় গুড়। আর সেই গুড়ই বর্তমানে বাজিমাৎ করছে পেস্ট্রির বাজারে। এই নতুন সৃষ্টি এর মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই সেখানে ব্যস্ততার সীমা নেই। ইতিমধ্যেই শিউলিদের বেশ ভিড় জমেছে শহরে। শীতের বাজারে যথেষ্টই চাহিদা রয়েছে গুড়ের আর সেই সাথে নলেন গুড়ের পেস্ট্রির। তাই বেশ রমরমিয়ে জমে উঠেছে এ বছরের সেরা আকর্ষণ – ‘নলেন গুড়ের পেস্ট্রি।’
চিত্র ঋণ – জিয়ো বাংলা
Discussion about this post