করোনা কালীন বন্দিজীবনে মানুষ ভুলতেই বসেছে রোজকার সেই চেনা পৃথিবীটাকে। সারা সপ্তাহের ব্যস্ততার পর ছুটির সেই মুক্তি আজ কোথায়? বরং এতদিনের ‘ছুটি’তেই কার্যত নাজেহাল রাজ্যবাসী। খুদেরাও ভুলতে বসেছে উইকেন্ডে মা বাবার হাত ধরে নিকোপার্ক বা সায়েন্স সিটি ঘোরা কিংবা তারামন্ডল বা চিড়িয়াখানা সফর। এবার সেই খুদেদের জন্যই নয়া পদক্ষেপ নিল আলিপুর চিড়িয়াখানা। সশরীরে হাজির না হয়েও অনলাইনেই ঘুরে ফেলা যাবে চিড়িয়াখানা।
একমাসের মধ্যেই প্রবল জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে অনলাইন আলিপুর চিড়িয়াখানা। ‘ই জু কলকাতা’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এবার খুব সহজেই মিলবে আলিপুর চিড়িয়াখানার সমস্ত খুঁটিনাটি। ইতিমধ্যেই গুগুল প্লে স্টোরে চলে এসেছে এই অ্যাপলিকেশন। আইফোন ইউজারদের জন্যও শীঘ্রই মিলবে এই সুবিধা এমনটাই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের জেরে গত মার্চ মাস থেকেই বন্ধ আলিপুর সহ রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা। কার্টুন আর ইউটিউব সর্বস্ব দুনিয়ায় কার্যত হাফিয়ে উঠেছে শৈশব। এবার তাদের জন্যেই সুখবর এনে দিল আলিপুর চিড়িয়াখানা। আলিপুর চিড়িয়াখানা ও দার্জিলিং চিড়িয়াখানার যৌথ উদ্যোগে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই প্রসঙ্গে রাজীববাবু জানান, চিড়িয়াখানা বন্ধ বলে বেশ কদিন যাবত মুখ ভার ছিল কচিকাঁচাদের। সেই আক্ষেপ মেটাতেই প্রথমে ফেসবুক লাইভের ব্যবস্থা করা হয়। দিনে ২ বার ১ ঘণ্টা করে ফেসবুক লাইভে চিরিয়াখানার প্রাণীদের দেখানো হত। সকাল ৯টা থেকে ১০টা ও বিকেল ৩টে থেকে ৪টে। এই কদিনেই আলিপুর চিড়িয়াখানা ও দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ফেসবুক পেজের লাইভ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিদেশেও প্রায়শই চিড়িয়াখানার প্রাণীদের নিয়ে ফেসবুক লাইভ করা হয়। অনেক চিড়িয়াখানা প্রাণীদের গতিবিধি ২৪ ঘণ্টা লাইভ স্ট্রিম করে। সেখান থেকেই এই চিন্তা আর তারপরেই ‘ই জু’ অ্যাপ।
চিত্র ঋণ – গৌর মালাকার
Discussion about this post