বিশ্ব জুড়ে করোনা আক্রান্তের হার নিয়মিত বেড়েই চলেছে। ইউনিভার্সিটি অফ মেডিসিনের অধ্যাপক জন হপকিন্সের বানানো একটি করোনা ভাইরাস ট্র্যাকারে দেখা যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখের কাছাকাছি। মারা গিয়েছেন পনেরো হাজারেরও বেশি মানুষ। করোনা আতঙ্কে চিকিৎসকদের দেখা দিয়েছে চিন্তার ভাঁজ। তবে এর মধ্যেই আশার আলো দেখালো নতুন এক তথ্য। হপকিন্সের সেই ট্র্যাকার অনুযায়ী এক লাখেরও বেশি মানুষ করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানা যাচ্ছে। সংক্রমণটির শুরু যেখান থেকে সেই চিনে নতুন করে কোনও করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে না। চিনে এখনও পর্যন্ত প্রায় ষাট হাজার মানুষ সেরে উঠেছেন। সম্প্রতি ইতালি ও ইরান ও স্পেনে মোট উনিশ হাজারের কাছাকাছি মানুষের সুস্থ হওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
করোনার প্রতিষেধক এখনও পর্যন্ত পাওয়া না গেলেও পরীক্ষামূলক ভাবে ভ্যাক্সিনের প্রয়োগ নিয়ে গবেষণা চলছে। ইতিমধ্যেই মার্কিন সরকার ‘হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন’ নামক ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক একটি ওষুধকে করোনার ভ্যাক্সিন হিসাবে ব্যবহার করার সম্মতি জানিয়েছেন সরকারী ভাবে। তবে এই সংক্রমণ যেহেতু মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তাই তা রোখার সবথেকে সহজ উপায় হল নিজেকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ বা ঘরবন্দী রাখা। এছাড়াও শরীরে সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সরাসরি চিকিৎসকদের পরামর্শও নিতে হবে। তবেই এই ভাইরাসের হাত থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Discussion about this post